এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার লংলা চা বাগানে নব নির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাজু কালোয়ারের ভাইয়ের লাইসেন্সধারী দেশিও মদের দোকানে (পাট্টায়) ২৯ মে বুধবার রাতে পরিদর্শনের গিয়ে বিপাকে পড়েন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান শরীফ। বাগানের শ্রমিকসহ দোকানের মালিক মাদকদ্রব্য উপ- পরিচালকসহ ৫-৭ জনকে একটি ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার এসআই আমিরের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করেন।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রের উপ- পরিচালক মিজানুর রহমান শরীফ ও মাদকদ্রব্যের সাহকারী প্রসিকিউটর সোয়েব রহমানের নেতৃত্বে বুধবার সন্ধ্যায় পরিদর্শনের নামে অভিযান চালান উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়ের লংলা চা বাগানে। সে সময় সরকারী লাইসেন্সধারী (নং-১৯) দেশিয় মদের দোকানে গিয়ে দোকান মালিক সাজু কালোয়ার মিটুনের কাছে ৩ লক্ষ টাকা দাবী করেন। যদি টাকা না দেওয়া হয় তাহলে মদের পাট্টাটি সিলগালা করে দেওয়ার হুমকি দেন মিজানুর রহমান। এসময় দোকান মালিকের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার উপর চড়াও হন মাদকদ্রব্য ওই কর্মকর্তা। এতে উপস্থিত মদপায়ী চা শ্রমিক লেবাররা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। চাঁদা দাবীর কথা শুনে তারা মাদকদ্রব্য টিমকে একটি ঘরে প্রায় ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। সেই সময় মাদকদ্রব্য টিমকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান পরিদর্শণের একটি লিখিত দেন। কিন্তু উত্তেজিত শ্রমিকরা সেই লিখিত প্রত্যাখান করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার দাবী করেন। পরে রাত ১০ টার দিকে কুলাউড়া থানার এসআই আমির উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত শ্রমিকদের শান্ত করে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
অভিযুক্ত মৌলভীবাজারের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান শরীফকে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি তেমন কিছু নয় দাবি করে সংবাদ না করার অনুরোধ করেন। জেলায় অনেক সাংবাদিকদের সাথে তাঁর সম্পর্ক আছে বলেও অহমিকা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. উর্মি বিনতে সালাম জানান, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায় নি। তবে খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য এর আগে ওই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান শরীফের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ এনে চা- বাগানের লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরা মহাপরিচালক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। #
Leave a Reply