এইবেলা রিপোর্ট ::
জুড়ী উপজেলার ফুলতলা বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার খাতার কোডিংস্লিপ পরিবর্তন করে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে ভোক্তভোগি প্রধান শিক্ষক প্রার্থী মো. আব্দুল জলিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রত্যেক প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতা পুনঃমূল্যায়ন ও নিরীক্ষনের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, জুড়ীর ফুলতলা বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে ২৬ জুন নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছয়জন প্রার্থী অংশ নেন। লিখিত অভিযোগে প্রধান শিক্ষক প্রার্থী মো. আব্দুল জলিল জানান, ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় এক ঘন্টার মধ্যে তিনি ৭০ নম্বরের উত্তর লিখে ফেলেন। উপস্থিত পর্যবেক্ষকগণ কম সময়ে সঠিক উত্তর লেখা দেখে বিস্মিত হন। অথচ পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্রে যথানিয়মে নম্বর না দিয়ে নিয়োগ কমিটি তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে আড়াই ঘন্টা সময়ক্ষেপণ করেন। নানা কুট কৌশলের পর বিকালে তাদের পছন্দের প্রার্থী নজরুল ইসলামকে প্রথম নির্বাচিত হওয়ার ঘোষণা দেন। ভোক্তভোগি প্রধান শিক্ষক প্রার্থী মো. আব্দুল জলিল অভিযোগ করেন, নিয়োগ কমিটি লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রে যথা নিয়মে নম্বর প্রদান করেনি। অথবা কথিত প্রথমস্থান অর্জনকারি প্রার্থী নজরুল ইসলামের সাথে আমার কোডিং স্লিপ ও উত্তরপত্র পরিবর্তন করে তাকে নির্বাচিত করেছেন। লিখিত পরীক্ষায় তিনি ৫০ মার্কের উত্তর লিখতে সক্ষম হন। পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় তাকে হীনমন্যতায় ভোগতে দেখা যায়। ফলাফল ঘোষণার পরই খাতা মূল্যায়নে কুটকৌশলের অভিযোগ উত্থাপন করতেই নিয়োগ কমিটির সদস্য ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাসুক আহমদ দম্ভোক্তি করেন, তিনি ৩৫ বছরের ইউপি চেয়ারম্যান, এসব অভিযোগ তোলে লাভ নেই। ডিজি প্রতিনিধি মৌলভীবাজার আলী আমজদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ময়নুল ইসলাম অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে না নিয়ে তড়িগড়ি খাতাগুলো প্যাকেটে ভরে সিলগালা করেন। এতেই প্রমাণ হয় খাতা নিরীক্ষণ ও মূল্যায়নে বড়ধরণের অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে।
মো. আব্দুল জলিল জানান, নির্বাচিত প্রার্থী নজরুল ইসলামকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া যে পূর্ব নির্ধারিত তা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাসুক আহমদের ইন্টারভিউ শুরুর অনেক আগের মোবাইল ফোনে অপরপ্রান্তের একজনের সাথে কথোপকোথনের অডিও ক্লিপ থেকেই বুঝা গেছে। তার (মো. আব্দুল জলিল) দাবি প্রত্যেক প্রার্থীর খাতাগুলো পুনঃমূল্যায়ন ও নিরীক্ষনের ব্যবস্থা নিলে মহাজালিয়াতি রহস্য বেরিয়ে আসবে।
জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম জানান, সরকারি কাজে তিনি মৌলভীবাজারের বাহিরে রয়েছেন। রোববার অফিসে গিয়ে অভিযোগ দেখে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুর রহমান শুক্রবার বিকেলে জানান, বৃহস্পতিবার তিনি অফিস থেকে বের হওয়ার পর ভোক্তভোগি হয়তো অভিযোগটি অফিসে জমা দিয়েছেন। রোববার অফিসে গিয়ে তা দেখার পর ব্যবস্থা নিবেন।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply