বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মধ্যরাতে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই অবস্থায় বিভিন্ন এলাকার মসজিদে মাইকিং করা হয়। ডাকাতি প্রতিরোধে মানুষজন গ্রামে গ্রামে পাহারা দিয়েছেন। তবে, অনেকের ধারণা সরকার বিরোধী কোনো মহল মানুষজনকে আতঙ্কিত করতেই ডাকাতির গুজব ছড়িয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
থানা পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাত আতঙ্কে বিভিন্ন এলাকা থেকে রাতে অর্ধশত ব্যক্তি থানায় ফোন দিয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় টহল জোরদার করে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। যদিও কোনো এলাকায় ডাকাতির ঘটনাই ঘটেনি।
জানা গেছে, উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বাঘেরকোনা গ্রামে শনিবার (৮ মার্চ) মধ্যরাতে ডাকাত হানা দিয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি এলাকার মসজিদের মাইকে জানানো হয়। এরপর খবরটি একে একে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মসজিদে জানালে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ডাকাত হানা দেওয়ার খবরটি মুহূর্তে উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ, দক্ষিণভাগ উত্তর, বড়লেখা সদর, দাসেরবাজার, তালিমপুর ইউনিয়ন ও বড়লেখা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ডাকাতি প্রতিরোধে এসব এলাকার মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক থাকার আহŸান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে মানুষ ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়ে এলাকায় পাহারা দিতে থাকেন। অনেকে বিষয়টি ফেসবুকে শেয়ার করে সবাই সতর্ক থাকতেও বলেন।
বড়লেখা পৌরসভার হাটবন্দ এলাকার বাসিন্দা মিকন পাল বলেন, ডাকাত হানা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তারা ডাকাতি প্রতিরোধে রাতে এলাকায় জড়ো হয়ে পাহারা দিয়েছেন।
সুজানগর ইউনিয়নের বাসিন্দা আদিব মজিদ বলেন, রাতে তাদের ইউনিয়নের একটি এলাকায় ডাকাত হানা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বিভিন্ন এলাকার মসজিদে বিষয়টি মাইকিং করে জানানো হয়। এলাকায় এলাকায় লোকজন পাহারা বসান। যদি কোথাও ডাকাতির খবর মিলেনি, ডাকাতও ধরা পড়েনি।
কাঠালতলী এলাকার বাসিন্দা সাঈব আহমদ ইয়াসের বলেন, রাতে তাদের এলাকায় ডাকাত হানা দেওয়ার খবর ছড়িয়েছে। যদিও কোথাও ডাকাতি হয়নি। যারা এই গুজব ছড়িয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
সুজানগর, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ, দক্ষিণভাগ উত্তর, বড়লেখা সদর, দাসেরবাজার, তালিমপুর ইউনিয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, মধ্যরাতে হঠাৎ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাত হানা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকার মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হয়। ডাকাতি প্রতিরোধে মানুষজন রাস্তায় বেরিয়ে পাহারা দেন। তবে কোথাও কোনো ডাকাতি হয়নি।
বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে রাতে এব্যাপারে অন্তত অর্ধশতাধিক ফোনে এসেছে। খবর পেয়ে টহল জোরদার করা হয়। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। তবে, ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply