এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিজয়ে পথের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থী। তবে শেষ মুহুর্তে বিগত ২০ বছরের দু:খ গোচাতে ও উন্নয়নের কথা বিবেচনায় নৌকার বিজয়ের কোন বিকল্প নেই।
কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ৪ মেয়র প্রার্থী। এছাড়া ৯ ওয়ার্ডে ৩৩ কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত নারী আসনের ১৬ নারী প্রার্থী। ভোট চাইতে বিরামহীনভাবে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহুর্তে এসে ভোটের মাঠের চিত্র যেন প্রতিদিনই মোড় নিচ্ছে নতুন নতুন বাঁকে। ৪ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে নৌকা মার্কায় সিপার উদ্দিন আহমদ বিজয়ী হওয়ার পথে একমাত্র কাটা নৌকা বিদ্রোহী বর্তমান মেয়র সফি আলম ইউনুছ। তারপরও কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে কাজ করছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ।
সবার একটাই লক্ষ্য নৌকাকে বিজয়ী করা। কেননা ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে সকল নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবি অব্যাহত আছে। এই ভরাডুবির পেছনে একমাত্র কারণ দলীয় কোন্দল। ডুবতে ডুবতে ২০ বছর পার করে এবার নৌকা তুলতে সবাই মাঠে নেমেছেন।
কুলাউড়া উপজেলার নেতাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিসবাউর রহমান, কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল।
কেন্দ্রিয় ও জেলা নেতাদের সাথে উপজেলার নেতৃবৃন্দের জোর প্রচারণায় নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে। কুলাউড়া পৌরসভা মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এবার পরিবর্তণের পক্ষে। সরকারের অনেক বিরোধীতা করেছেন, তাতে কেবল উন্নয় বঞ্চিত হয়েছেন। এবার অন্ত:ত উন্নয়নের স্বার্থে নৌকাকে বিবেচনা করতে চান।
বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী সফি আলম ইউনুছ ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিদ্রোহী ছিলেন এবারও তিনি বিদ্রোহী। বহিষ্কারও হয়েছে ২ বার দল থেকে। ২০১৫ সালের নির্বাচনে দিয়েছিলেন ব্যাপক প্রতিশ্রুতি। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন না করায় ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়তায় ভাটা নেমেছে। পৌরসভার একফোটা পানি না খাওয়ার ঘোষণা দিলেও পৌরসভার উন্নয়ন কাজে ঠিকাদরদের কাছে থেকে ১৫ থেকে ২০ পার্সেন্ট কমিশন নিয়ে কাজ দিয়েছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডে গ্যাস সরবরাহ করতে পারেননি। পৌরসভার মেইন সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ, বিশুদ্ধ পানী সরবরাহ, পরিচ্ছন্ন নগরী গঠন এসব কোন কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের দায়ে ভোটারদের বিবেচনায় খুব একটা নেই। তবে মোটা অঙ্কের ভোট কেনার বাজেট নিয়ে মাঠে নেমেছেন এবার। যদি অর্থের কাছে ভোট বিক্রি হয়ে যায়, তাহলে তিনি ২য় বারের মত মেয়র নির্বাচিত হবেন।
কুলাউড়া পৌরসভায় বিএনপির একটি বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২ বারের সাবেক মেয়র বিএনপি প্রার্থী কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ চমক দেখালে অবাক হওযার কিছু থাকবে না। তবে দলীয় কোন্দলে তিনিও জর্জরিত।
উল্লেখ্য ২য় দফায় দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে কুলাউড়ায় ১৬ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভায় মোট ভোটার ২০ হাজার ৭৫৯।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply