বড়লেখা প্রতিনিধি :: হাকালুকির সর্ববৃহৎ গোটাউরা হাওরখাল গ্রুপ (বদ্দ) জলমহালের ইজারাদার সমিতিকে অবশেষে মাছ আহরণের অনুমতি দিয়েছে ভুমি মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব তাজুল ইসলাম মিয়া স্বাক্ষরিত পত্রে মাধবকু- মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি কর্তৃক ১৪২৭ বঙ্গাব্দের ইজারা মূল্য পরিশোধ করায় উক্ত সমিতিকে জলমহাল থেকে মাছ আহরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
জলমহালের খাজনাসহ ৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও মামলা-মোকদ্দমার বেড়াজালে মাছ আহরণ করতে না পারায় দিশেহারা হয়ে পড়ে জলমহালটির ইজারাদার সমিতি। অবশেষে মাছ ধরার অনুমতি পাওয়ায় সমিতি সংশ্লিষ্টদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। বুধবার থেকেই তারা মাছ আহরণ শুরু করেছে।
জানা গেছে, হাকালুকি হাওরের প্রায় ২ হাজার একরের বৃহৎ জলমহালটি ১৪২৫-১৪৩০ বাংলা সনের জন্য একক আবেদনকারী হিসেবে ভুমি মন্ত্রণালয় হতে উন্নয়ন প্রকল্পে ইজারা নেয় বড়লেখার মাধবকুন্ড মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। সরকারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী ১৪২৫-২৬ ও ২৭ সনের ইজারা মূল্য, ভ্যাট ও জামানতসহ সোয়া ৪ কোটি রাজস্ব পরিশোধ করে উক্ত সমিতি। এছাড়াও জলমহালের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষন খাতে তারা আরো প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয় করে। চুক্তিমোতাবেক সমিতি যখন বিল ফিসিংয়ের প্রস্তুতি নেয়, তখনই অপর একটি মৎস্যজীবি সমিতির মামলা মোকদ্দমার বেড়াজালে মাছ আহরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
ইজারাদার মাধবকুন্ড মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি সালাম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক শিপার আহমদ জানান, আমাদের সমিতি গোটাউরা হাওরখাল (বদ্দ) জলমহালটি ৬ বছরের জন্য লীজ নেয়। সরকারী রাজস্বসহ সোয়া ৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ফিসিংয়ের অফিসিয়েল কার্যক্রম চলাকালে একটি মহল মামলা-মোকদ্দমার বেড়াজালে আমাদের মাছ আহরণ বাধাগ্রস্থ করে। অবশেষে আমরা মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় থেকে মাছ আহরণের লিখিত অনুমতি পেয়েছি। বুধবার থেকে মাছ ধরা শুরু করেছি।
বড়লেখা ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান জানান, ভুমি মন্ত্রণালয়ের সায়রাত-১ অধিশাখার উপ-সচিব তাজুল ইসলাম মিয়া স্বাক্ষরিত পত্রে মাধবকু- মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিকে গোটাউরা হাওরখাল গ্রুপ (বদ্দ) জলমহালের মাছ আহরণের অনুমতি প্রদানের বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে। উক্ত মঙ্গলবার স্বাক্ষরিত এ পত্রে জলমহালের স্থিতাবস্থা বজায়ের স্বার্থে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশক্রমে তাকে অনুরোধ করা হয়েছে।
Leave a Reply