স্কোয়াশের বাম্পার ফলন : কৃষক সাদিকের চোখে-মুখে তৃপ্তির হাসি! স্কোয়াশের বাম্পার ফলন : কৃষক সাদিকের চোখে-মুখে তৃপ্তির হাসি! – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিটার মিনিবার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এফসি ডার্ক নাইট একজন মেহেদী হাসান রিফাতের গল্প : স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে আত্রাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা : ১৪ টি যানবাহন জব্দ কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবার খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি আটক কুলাউড়ার হাজিপুর ইউনিয়নে জিপিএ-৫ ও এ গ্রেড পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা রাজারহাটে ওয়ার্ল্ড ভিশনের আয়োজনে বাল্যবিবাহ বন্ধে সংলাপ কুড়িগ্রামে ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র মতবিনিময়

স্কোয়াশের বাম্পার ফলন : কৃষক সাদিকের চোখে-মুখে তৃপ্তির হাসি!

  • মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

আবদুল আহাদ ::

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিদেশি জাতীয় সবজি ‘স্কোয়াশ’ চাষ করে চমক দেখিয়েছেন সাদিক মিয়া নামক এক যুবক। নিজের ফলানো সবজি বিক্রি করে তিনি আজ অনেকটা স্বাবলম্বী। বিদেশি সবজি চাষে তার এই সফলতা দেখে গ্রামের অনেকেই এখন আগ্রহী হয়েছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের পশ্চিম খাদিমপাড়া গ্রামের সাদিক মিয়া প্রাইভেট একটি চাকুরি করেন। সেই চাকুরিতে তার নুন আনতে পান্তা ফুরায়। অভাব আর দেন-ধারে অনেকটা হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। গত দু’মাস আগে স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে উপজেলায় এসে কৃষিকর্মকর্তাকে সবজি চাষের আগ্রহতা দেখান। এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন তাকে নতুন জাতের বিদেশী সবজি স্কোয়াশ চাষ করার পরামর্শ দেন এবং সাধ্যনুযায়ী সহযোগীতা করার আশ্বস্থ করেন।

নতুন জাতের বিদেশী সবজি শুনে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেন সাদিক মিয়া। অনেকটা ধার-দেনা করে নিজের ৯০ শতক জমিতে শুরু করেন স্কোয়াশ চাষ। কৃষি অফিসের নিয়মানুসারে চাষ করায় মাত্র আড়াই মাসে স্কোয়াশের বাম্পার ফলন পেয়েছেন তিনি। আর এই বাম্পার ফলনে সাদিকের চোখে-মুখে এখন তৃপ্তির হাসি।

কৃষক সাদিক মিয়া বলেন, কুলাউড়া কৃষি অফিসের মাধ্যমে এই সবজির বিষয়ে জানতে পেরে আগ্রহী হয়ে উঠি। কৃষি কর্মকর্তার আন্তরিক সহযোগিতায় ৫০-৬০ হাজার টাকা খরছ করে ৯০ শতক জমিতে প্রায় আড়াই হাজার স্কোয়াশ চারা রোপন করি। প্রতিটি গাছেই -১২১০ টি পর্যন্ত ফল এসেছে এবং একেকটি স্কোয়াশের ওজন এক থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত হয়েছে। তাতে এই মৌসুমে স্কোয়াশগুলো বিক্রি করে আড়াই থেকে ৩ লক্ষ টাকা পাবো বলে আশা করছি। সাদিক মিয়া আরও বলেন, এই ফলটি খেতে খুব সু-স্বাধু। অনেকটা মিষ্টি কুমড়ার মতো। বর্তমানে এলাকার অনেকেই এসে এটি সম্পর্কে জেনে নিচ্ছেন এবং স্কোয়াশ চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

কুলাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন জানান, স্কোয়াশ বিদেশি সবজি হলেও আমাদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় এর চাষাবাদ এখন হচ্ছে। সাধারণত দোআঁশ মাটিতে এর ফলন ভালো হয়। স্কোয়াশ ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ এবং আয়রনসহ বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরা একটি সবজি। কুলাউড়ায় পরীক্ষামূলক চাষে বেশ সফল হয়েছেন কৃষক সাদিক মিয়া। তাছাড়া এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করে খরছ বাদে ১০-১৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব হয়। অপরদিকে এক বিঘা জমিতে স্কোয়াশ চাষ করে সব খরছ বাদে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews