বিধবার বাড়ির রাস্তায় খালকেটে ইজিপিপি প্রকল্পে মাটি ভরাট
বড়লেখা প্রতিনিধি ::
বড়লেখায় দরিদ্র বিধবার বসতঘরে যাতায়াতের রাস্তায় খাল কেটে ইজিপিপি প্রকল্পের মাটি ভরাট করেছেন উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের ইউপি মেম্বার বিজয় কৃষ্ণ দাস! খাড়া ও গভীরভাবে মাটি খননে সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিতে মাটি ধ্বসে বিধবার বসতঘর এখন হুমকির সম্মুখিন। ভুক্তভোগী বিধবা বসতঘরে যাতায়াতের রাস্তার ও গাছপালার ক্ষতিসাধন, ইজিপিপি কাজে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে গত শনিবার পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপির নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের পানিসাওয়া গ্রামের নিকেশ দাসের বাড়ি হতে ফকিরবাজার পাকা রাস্তা পর্যন্ত গ্রামীণ কাঁচা রাস্তার মাটির কাজের (পুনঃসংস্কার) জন্য ২০২০-২১ অর্থ বছরে ইজিপিপি প্রকল্পে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। ৩১ মার্চের মধ্যে সংস্কার কাজ সম্পন্নের নির্দেশনা রয়েছে। প্রকল্প কমিটির সভাপতি ইউপি মেম্বার বিজয় কৃষ্ণ দাস সংশ্লিষ্ট রাস্তার সংস্কার কাজ করতে গিয়ে অনেকের বাড়ির সামনা কেটে তাদের যাতায়াতের মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করেন।
সরেজমিনে গেলে গ্রামের ভুক্তভোগী বাসিন্দা প্রতাপ দাস, বিধান দাস, নিরঞ্জন দাস, রিন্টু দাস, ভুষণ দাস প্রমুখ অভিযোগ করেন রাস্তা সংস্কারে সরকারী কত টাকা বরাদ্দ মিলেছে মেম্বার তা কাউকে বলেননি। শুনেছেন ২ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। মেম্বার ৪০-৫০ হাজার টাকার কাজ করে বাকি টাকা আত্মসাত করেছেন। একটু দুর থেকে মাটি এনে রাস্তাটি ভরাট করলে টেকসই হতো। কিন্তু মেম্বার অনেকের বাড়ির সামনার মাটি কেটে এমনকি রাস্তার নিচ থেকে খাড়াভাবে মাটি কেটে ওপরে দিয়েছেন। এতে রাস্তা ধ্বসে পড়ে চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে।
হতদরিদ্র বিধবা প্রতিভা রাণী দাস অভিযোগ করেন, বসতঘরের যাতায়াত রাস্তা নিজ উদ্যোগে তিনি মাটি ভরাট করেন। ইউপি মেম্বার তার ব্যক্তিগত রাস্তা খাড়া ও গভীরভাবে কেটে মাটি নিয়ে গেছেন। দাঁড়িয়ে থেকে তার লাগানো পুরনো কয়েকটি গাছও কেটে ক্ষয়ক্ষতি করেন। সম্প্রতি বৃষ্টিপাতে মাটি ধ্বসে পড়ছে। হুমকির সম্মুখিন তার বসতঘর। এব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে তিনি পরিবেশমন্ত্রীর নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি জানান, তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার বিজয় কৃষ্ণ দাস জানান, রাস্তার কাজে তিনি কোনো অনিয়ম করেননি। ইউপি চেয়ারম্যান কমর উদ্দিনের নির্দেশনা অনুযায়ীই কাজ করেছেন। প্রকল্পের মুল দায়িত্বে ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি প্রকল্পের কোনো টাকা উত্তোলন করেননি।#
Leave a Reply