এইবেলা. কুলাউড়া ::
১৯৯৫ সনের ৭ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা হয় কুলাউড়া হাসপাতালের এক্সরে মেশিন। এরপর ২৬ বছর কেটে গেছে। উদ্বোধনের দিনই কেবল খোলা ছিলো রুমটি এবং চালু ছিলো এক্সরে মেশিন। এরপর আর তালাবদ্ধ এক্সরে রুমের দরজা খোলা হয়নি আর চালুও হয়নি মেশিনটি। এক্সরে মেশিনের ছবি তুলতে চাইলে দরজা খুলতে মৌখিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুধু এক্সরে নয় ইসিজির মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবা থেকে বঞ্চিত কুলাউড়ার উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ।
কুলাউড়া উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবাগ্রহিতারা ২৯ প্যাথলজিক্যাল সেবা পাওয়ার কথা। কিন্তু এক্সরে ইসিজির মতো জরুরি সেবা বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত শত শত রোগিকে এক্সরের জন্য ছুটতে হয় শহরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে। অভিযোগ আছে, ডাক্তারের পছন্দসই ডায়াগণস্টিক সেন্টারে এক্সরে না করালে সেটি আবার গ্রহণযোগ্য হয় না। এক্সরে ও ইসিজি চালু প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ না দিলে সেগুলো চালানো সম্ভব নয়।
কিন্তু কুলাউড়ার মানুষের লোকমুখে একটি কথা শুনা যায়, এক্সরে মেশিনটি চালু হলে শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো মশা তাড়াতে হবে। যদিও মেশিনটি স্থাপনের পর বলা হতো কুলাউড়ার বিদ্যুতের ভোল্টেজ সমস্যার কারণে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু কুলাউড়া বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র চালুর পর থেকে বলা হচ্ছে লোকবল সঙ্কটের কারণে সেটি চালু হচ্ছে না। আর কবে নাগাদ চালু হবে, সেটিও বলতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ।
কুলাউড়া হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) সাইদুর রহমান জানান, এক্সরে মেশিনটি অচল, ইসিজি করা হয় না। কারণ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট গত ১৪ বছর থেকে নিয়োগ নেই। এছাড়া বায়োকেমেস্ট্রি টেস্টের জন্য একটি এনালাইজার মেশিনের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্যাথলজিক্যাল টেস্ট ২৯টির মধ্যে ৮টি টেস্ট কুলাউড়া হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে করা সম্ভব হয় না। সেগুলো হলো সিরাম ক্রিয়েটিনিন, এইচআইভি, এন্টি বডি নির্নয়, এসজিপিটি- এসজিওটি, সারকুলেটিং ইসোনফিল, ইউরিক এসিড, টিউবারকুলিন টেস্ট ও এন্টিএইচসিভি। ফলে এসব টেস্টগুলো করতে মানুষকে ছুটতে হয় জেলা কিংবা বিভাগীয় শহরে।
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা, ফেরদৌস আক্তার জানান, যা আছে তাই দিয়ে সীমাবদ্ধতার মধ্যে রোগিদের যতটুকু সম্ভব সেবা দেয়া হয়। টেকনোলজিস্ট নিয়োগ না দিলে এক্সরে ও ইসিজি সেবা দেয়া সম্ভব নয়।#
Leave a Reply