বড়লেখা প্রতিনিধি ::
বড়লেখায় ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে উপজেলার ৪ স্থানে অবৈধভাবে পশুর হাট বসানো হয়েছে। এ কারণে যারা বৈধভাবে পশুর হাটের ইজারা নিয়েছেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব। অবৈধ হাটগুলো বসেছে আজিমগঞ্জ বাজার, ফকিরবাজার, দক্ষিণভাগ বাজার, অফিসবাজার ও বিছরাবাজার এলাকায়।
এদিকে অবৈধভাবে বসানো পশুর হাটগুলো বন্ধে গত রোববার (১৮ জুলাই) মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা থেকে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হয়। এরপরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন সোমবার উপজেলার বিভিন্ন অবৈধ পশুর হাটে পুলিশ নিয়ে অভিযান চালান।
জানা গেছে, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গত কয়েকদিন থেকে উপজেলার সুজানগর, ফকিরবাজার ও বিছরাবাজার এলাকায় অবৈধভাবে পশুর হাট বসানো হয়। এগুলো বন্ধে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বৈধ ইজারাদাররা। এ ঘটনায় বড়লেখা হাজীগঞ্জ বাজারের ইজারাদার তোফায়েল আহমদ জামিল বড়লেখা পৌরসভার মেয়র বরাবারে লিখিত আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বড়লেখা পৌরসভার মেয়র জেলা প্রশাসক বরাবরে অবৈধভাবে বসানো পশুর হাট বন্ধে আবেদন করেন। আবেদনের পর ওই দিনই জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা থেকে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বড়লেখা হাজীগঞ্জ বাজারের ইজারাদার তোফায়েল আহমদ জামিল বলেন, ‘আমি সরকারিভাবে ইজারা নিয়েছি। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে হাটে গরু বেচাকেনা কম হচ্ছে। এমনিতেই লোকসান গুনতে হচ্ছে। এরমধ্যে বিভিন্ন বাজারে অবৈধভাবে পশুর হাট বসানোয় আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এগুলো বন্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই পৌরসভার মেয়র বরাবরে আবেদন করেছি।’
এ ব্যাপারে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নূসরাত লায়লা নীরা জানান, অভিযোগ পেয়ে রোববার বিভিন্ন অবৈধ পশুর হাটে অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ করেন। সুজানগর ইউনিয়নের আজিমগঞ্জ বাজার নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলমান থাকায় সেখানে অভিযান চালানো যায়নি। সোমবারা সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন দক্ষিণভাগ বাজারসহ কয়েকটি অবৈধ পশুর হাট বন্ধ করেন।#
Leave a Reply