বিশেষ প্রতিনিধি ::
অাজ শ্রীমঙ্গলে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে অপরাজিতাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অপরাজিতা’র নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রকল্পের আওতায় ডেমোক্রেসি ওয়াচ, রূপান্তর, খান ফাউন্ডেশন ও প্রিপ ট্রাস্টের যৌথ ব্যবস্থাপনায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্তের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর ২০২১) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার কৃষি অফিসের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অপরাজিতা প্রকল্পের (সিবিসি-ক্লাস্টার টিম-সিলেট)-এর ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার অাব্দুর রাজ্জাকের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও উপজেলা কো-অর্ডিনেটর তাহমিনা পারভীনের সঞ্চালনায় এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান; ন্যাশনাল অাওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এর মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নিহারেন্দু হোম সজল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি দেওয়ান মাসুকুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি প্রার্থী ও মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী লিটন অাহমদ সাজু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রীমঙ্গল পৌর শাখার সভাপতি শেখ জুয়েল রানা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি হাজী এলেমান কবির ও ছাত্রদলের উপজেলা শাখার অাহবায়ক সাইফুর রহমান শিপু প্রমূখ।
এতে অপরাজিতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সদস্যগণ।অপরাজিতাদের পক্ষে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন স্বপ্না দাশ।
অপরাজিতা প্রকল্পের (সিবিসি-ক্লাস্টার টিম-সিলেট)-এর ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “নারী জনপ্রতিনিধিরা শুধু নারীদের নয়, প্রতিনিধিত্ব করেন পুরুষ সমাজেরও। সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে নারী-পুরুষের সমানধিকার তথা ন্যায্য সুযোগ সুবিধা লাভের দিকনির্দেশনার আলোকে এ যাবত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা কৌশল ও পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বেশকিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যারমধ্যে ১৯৯১’র সংসদ নির্বাচনের পরে নির্বাচন কমিশনের জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী প্রথমবারের মতো দলীয় রাজনীতিতে সকল কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে শতকরা ৩০ ভাগ নারীর জন্য সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণের একটি বড় সুযোগ তৈরী হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোতে জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে সভাপতি বা সম্পাদক পদে নারীদের নির্বাচিত হতে দেখা যায় না। এ বিষয়ে নারীদের কি করণীয় তা আলোচনা করাটা খুবই জরুরী। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোতে যে নারীরা রয়েছেন তাদের চ্যালেঞ্জগুলো শুনা এবং সে অনুযায়ী এগুনোটা এখন সময়ের দাবী।”
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, “নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন যদি না হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রে ক্ষমতায়ন হলেও তার কাঙ্খিত ফল আমরা দেখতে পাবো না৷ আমি মনে করি, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন অনেক বড় বিষয়৷ এটা চর্চার মাধ্যমে আসতে হবে৷ সেটার জন্য চর্চার ক্ষেত্রটা তৈরি করতে হবে আমাদেরকে৷
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হচ্ছে একটি রাজনৈতিক বিশ্বাস। এই দৃষ্ঠিভঙ্গী থেকে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।#
Leave a Reply