এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগে নতুন করে গৃহদাহ শুরু হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর সোমবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমানের নেতৃত্বে তাঁর সমর্থকরা শহরে বিশাল মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে সতর্ক করলেন সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সহ-সভাপতি পক্ষের দাবি, গত ১০ নভেম্বর দলের সাধারণ সম্পাদক তাঁর বিরুদ্ধে অশালীন ও বানোয়াট বক্তব্যের প্রতিবাদে তাদের এই কর্মসূচি। দুই নেতার এই উত্তপ্ত লড়াইয়ে অবশ্য দলের সভাপতি নীরব দর্শক।
সোমবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমানের নেতৃত্বে সমর্থকদের এক বিশাল মিছিল কুলাউড়া শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সেই মিছিল থেকে স্লোগান দেয়া হয়, “কামরুলের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে। আয়রে কামরুল দেখে যা সলমান ভাইয়ের কাফেলা। কুলাউড়ার মাটি সলমান ভাইয়ের ঘাঁটি।”
মিছিল শেষে এক প্রতিবাদ সভা স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় একেএম সফি আহমদ সলমান বলেন, গত ১০ নভেম্বর ভাড়াটে লোকজন নিয়ে আমার বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যাচার করেছেন আমি তার নিন্দা ও ঘৃণা জানাই। আপনার অপকর্মের জন্য বিগত নির্বাচনে আপনার জামানত বাজেয়াপ্ত করে জনগণ আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। কুলাউড়াবাসীকে সাবধান করে দিতে চাই। আপনারা এই লোক থেকে দুরে থাকবেন। আর আপনি যদি সংশোধন না হন তবে কুলাউড়ার মানুষ আপনাকে প্রতিহত করবে। মুখে আওয়ামীলীগ বলে অন্তরে বিষ লালন করে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে পারবেন না। নিজেকে সংশোধন করুন। আসুন এসব ভেদাভেদ ভুলে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। আপনার কিসের এত ভয়, শুধু আমাকে নিয়ে দোষারুপ আর মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য দিচ্ছেন। আজকের এই সমাবেশ থেকে বলবো নিজেকে নিবৃত্ত করুন নয়তো কুলাউড়ার মানুষ আপনাকে ছাড় দেবে না। মরহুম আব্দুল জব্বার এমপির ছেলের কাছ থেকে এমন বক্তব্য আশা করা যায় না।
আমি উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তথ্য যাচাই করে দেখেছি বিগত পাঁচ বছরে তাঁর সময়কালে কামরুল ইসলাম পরিষদের প্রায় ৮৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি তদন্তনাধীন রয়েছে, খুব অচিরেই তিনি এই টাকা আত্মসাতের কারণে কারাগারে যাবেন।
প্রতিবাদ মিছিল ও সভায় উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন থেকে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সে¦চ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ১০ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, সহ-সভাপতি একেএম সফি আহমদ সলমান ও সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম নির্বাচিত হন। এরপর ২ বছর অতিবাহিত হলেও পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। ৩ নেতার ত্রিমূখী কোন্দলে দলের নেতাকর্মীরাও ত্রিধাবিভক্ত ও হতাশ।##
Leave a Reply