বড়লেখা প্রতিনিধি ::
বড়লেখায় বিএনপি ও যুবদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তাকেও আসামী করা হয়েছে! ওই কর্মকর্তা বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে আসামী করায় বিভিন্ন মহলে পুলিশের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২৫ ডিসেম্বর পৌরশহরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের আশংকায় থানা পুলিশ উপজেলা ও পৌর যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে পুলিশ উপজেলা বিএনপি ও যুবদলের ২৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা করে।
জানা গেছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে নেওয়ার অনুমতি প্রদান এবং হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে ২৫ ডিসেম্বর (শনিবার) সকালে বড়লেখা উপজেলা ও পৌর যুবদল পৌরশহরের উত্তর চৌমূহনায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এঘটনায় থানার এএসআই আবু তালেব বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এসএম শরিফুল ইসলাম বাবলুকে প্রধান আসামী করে বিএনপি ও যুবদলের ২৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও আরো ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা করেন। এ মামলায় ১৮ নম্বর আসামী দেওয়া হয়েছে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ গার্লস কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সহিদ খানকে। অথচ ওইদিন ঘটনার এক/ দেড়ঘন্টা পূর্ব থেকে গোলাপগঞ্জের একটি ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে তিনি উপজেলা কমপ্লেক্সে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন।
বড়লেখা থানার ২৫ ডিসেম্বরের ১১ নম্বর পুলিশ অ্যাসল্ট মামলার ১৮ নম্বর আসামী গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ গার্লস কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও হাকালুকির পার পনাইরচক হাইস্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. আব্দুস সহিদ খান জানান, চাকরীবিধি অনুযায়ী প্রেষণে ওইদিন তার চাকরি নির্বাচন কমিশনে ন্যাস্ত ছিল। তাই রিটার্নিং অফিসারের আদেশে ২৫ ডিসেম্বর সাড়ে এগারোটার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নির্বাচনি মালামাল সমেত গাড়ী সমজে আনসার, পুলিশ ও সহকর্মীদের সমন্বয়ে কেন্দ্রের দিকে রওয়ানা দেন। পুলিশের মামলায় উল্লেখিত সময়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূর থেকে কিভাবে তিনি পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলেন তা শুধু পুলিশই ভাল জানে।
থানার ওসি (তদন্ত) রতন দেবনাথ জানান, মামলার তদন্তে যদি ঘটনার সাথে উনার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া না যায়, তবে এব্যাপারে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#
Leave a Reply