এইবেলা, বড়লেখা ::
বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন করোনার সময়ে ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি এবং পরবর্তীতে সীমিত পরিসরে অফিস চলমান থাকা অবস্থায়ও ঝুঁকি নিয়ে জনকল্যাণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। বিশেষ করে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গণসচেতনতায় ও সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনের ভুমিকা নানামহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। মধ্য মার্চ থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৪ মাসে বড়লেখায় জনস্বার্থে রেকর্ড সংখ্যক মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। এ সময়ে ইউএনও ও সহকারী কমিশনার (ভুমি)’র নেতৃত্বে পরিচালিত ৪৮টি মোবাইল কোর্ট ২৯৬টি মামলায় ৮ লাখ ৬ হাজার ৮০০ টাকা অর্থদন্ড আদায় করেছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নে ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) নুসরাত লায়লা নীরার নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৪৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এতে ২৯৬টি মামলায় ৮,০৬,৮০০ টাকা অর্থদন্ড আদায় হয়েছে। যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশী। এসব মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালন, স্বাস্থ্যবিধি মানা, হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিতকরণ, পরিবেশ রক্ষা, সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারসহ বিভিন্ন কারনে। এরমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামীম আল ইমরান মার্চ হতে ১৬ জুলাই পর্যন্ত ২৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২১৭টি মামলায় ৭ লাখ ৪২ হাজার ৯০০ টাকা অর্থদন্ড আদায় করেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নূসরাত লায়লা নীরা ২২টি মোবাইল কোর্ট চালিয়ে ৭৯টি মামলায় ৬৩ হাজার ৯০০ টাকা অর্থদন্ড করেন। এসব মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, স্বাস্থ্য বিভাগ ও গণমাধ্যম সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করেছে।
করোনাকালীন সময়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট কার্যক্রমে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক স্বস্থি লক্ষ্য করা গিয়েছে। করোনার সংকটকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যখন দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির পায়তারা করছিল ঠিক তখন মোবাইল কোর্টের কার্যক্রমে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়াও নির্ধারিত সময়ের বাইরে যাতে দোকান খোলা না থাকে এবং মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থবিধি মানা, হোমকোয়ান্টাইন নিশ্চিতকরণেও মোবাইল কোর্ট ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। যা বিভিন্ন মহলে প্রশংসা কুড়ায়। করোনার এই মহামারীর সময়ে টিলা কাঁটা রোধ, পলিথিনের মত পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধেও মোবাইল কোর্ট ছিল অত্যন্ত তৎপর।
নিজবাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, করোনা মহামারী সংকটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বড়লেখা উপজেলায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থবিধি মেনে চলা, হোমকোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করাসহ টিলা কাঁটা রোধে যে পরিমান মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম আল ইমরান জানান, করোনার সময়েও জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দিক নির্দেশনা মোতাবেক বড়লেখা উপজেলায় ব্যাপক মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। এ ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।#
Leave a Reply