কুড়িগ্রামে চল্লিশ বছর ধরে প্রতিদিন রোজা রাখছেন ইনছান আলী কুড়িগ্রামে চল্লিশ বছর ধরে প্রতিদিন রোজা রাখছেন ইনছান আলী – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের ধুমপানের ভিডিও ভাইরাল, বহিস্কার ৪ কুলাউড়ায় ২ শতাধিক বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ বড়লেখায় পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ গ্রেফতার ২ বড়লেখায় আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় : সীমান্তবর্তী মন্ডপ নিরাপত্তায় বিজিবির বিশেষ নজরদারি কমলগঞ্জে একদফা দাবীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ কমলগঞ্জে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা আত্রাইয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে  মতবিনিময় সভা   অন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শ্রীমঙ্গলে পিএফজির মানববন্ধন আত্রাইয়ে বর্ণিল আয়োজনে জাতীয় ‘পথশিশু দিবস’ পালিত কুলাউড়ায় শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ মহালয়া অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামে চল্লিশ বছর ধরে প্রতিদিন রোজা রাখছেন ইনছান আলী

  • শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ::
আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে রোজা রাখছেন ইনছান আলী (৭৫)। প্রথমে পাঁচ বছর রোজার রাখার নিয়ত করে রোজা শুরু করলেও পরবর্তীতে আর ছাড়তে পারেননি তিনি।
ইনছান আলীর বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোব এলাকায়। তিনি পেশায় একজন কৃষক। ইনছান আলী ১৯৮১ সাল থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি একটানা রোজা পালন করে আসছেন। এমনি করে গত চল্লিশ বছর ধরে প্রতিদিন রোজা পালন করে আসছেন তিনি। তিনি ঈদ-উল-ফিতরের একদিন ও ঈদ-উল-আযহার চারদিন মিলে মোট পাঁচদিন ব্যতীত সারা বছরই রোজা রাখেন। এতে তার শারীরিক কোনো সমস্যা হয় না। রোজা রেখেই স্বাভাবিকভাবে সকল কাজকর্ম করতে পারেন।
ইনছান আলীর পরিবার জানায়, কর্ম জীবনের শুরুতে ইনছান আলী সুপারি কিনে বাজারে বিক্রি করতো। ১৯৭০ সাল পরবর্তী সুপারির ব্যবসার সুবাদে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে নাগেশ্বরী উপজেলার মাদাইখাল নাউ খাওয়া ব্রীজ এলাকার সুপারী চাষী সাদর উদ্দিনের সাথে। সাদর উদ্দিন একজন ধার্মিক মানুষ। সাদর উদ্দিনের সাথে চলাফেরার এক পর্যায়ে ধর্মীয় কর্মকান্ডের প্রতি অনুরাগী হয়ে উঠেন ইনছান আলী। বন্ধু সাদর উদ্দিনের রোজা রাখা দেখে তিনিও রোজা শুরু করেন। যা আজ অবধি অব্যাহত রেখেছেন।
ইনছান আলীর নাতি আতাউর রহমান বলেন, জন্মের পর থেকেই নানার রোজার বিষয়টি জেনে আসছি। রোজা রেখেই তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। অসুস্থ অবস্থায়ও তাকে কোনো দিনও রোজা পরিত্যাগ করতে শুনিনি।
ইনছান আলীর স্ত্রী জেলেখা খাতুন বলেন, আমার স্বামী ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রোজা পালন করে আসছেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। আমরা গরীব মানুষ। ঠিকমতো মাছ মাংস ও ফলমুল কিনে খেতে পারিনা। আমার স্বামী প্রতিদিন সাহরী ও ইফতারে ভাত কিংবা চিড়া মুড়ি খান। টানা রোজা রেখে তার কোনো শারীরিক সমস্যা হয়নি কখনো।
ইনছান আলী বলেন, ঈদ-উল-ফিতরের একদিন ও ঈদ-উল-আযহার চারদিন মোট পাঁচদিন ব্যতীত সারা বছর রোজা পালন করি। রোজা পালনে আমার কোনো সমস্যা কিংবা শারীরিক অসুস্থতা বোধ করিনা। সারাদিন রোজা রাখার পর মানসিক তৃপ্তি পাই। আমার প্রেশার, ডায়াবেটিস সহ জটিল বা কঠিন কোন রোগ নেই।
ইনছান আরও বলেন, ১৯৮১ সাল থেকে বন্ধুর নিয়মিত রোজা রাখা দেখে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে একাধারে পাঁচ বছর রোজা পালনের নিয়ত করি। পাঁচ বছর রোজা পালনের পর আর ছাড়তে পারিনি। যা এখন পর্যন্ত পালন করে যাচ্ছি। রোজা পালনের কথা মানুষকে বলা ঠিক নয়। রোজার প্রতিদান আল্লাহ তায়ালাই আমাকে দেবেন। আমি সারাজীবন রোজা রাখতে চাই। সামনে রমজান মাস। এ মাসে সকল মুসলমানকে রোজা পালনের আহবান জানাচ্ছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকে জেনে আসছি ইনছান আলী রোজা পালন করে আসছেন। এই বৃদ্ধ বয়সেও তিনি রোজা রেখে যাচ্ছেন তা দেখতে ভালোই লাগে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews