কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নার্সারীগুলোতে ফলদ, বনজ, ঔষধিসহ বিভিন্ন ধরনের চারা বিক্রির ধূম শুরু হয়েছে। এসব নার্সারী থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে চারা গাছ বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় অনেকেই নার্সারী থেকে চারা ক্রয় করে ঠেলা ও ভ্যান গাড়ি যোগে গ্রামগঞ্জের বাজারগুলোতে ফেরি করে বিক্রি বরেন।
জানা যায়, বনাঞ্চল অধ্যুষিত ও মাটি উর্বর থাকায় কমলগঞ্জ উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৭০ টি নার্সারী গড়ে উঠেছে। যদিও কৃষি অফিস থেকে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি। এসবের মধ্যে বেশিরভাগ নার্সারী রাস্তার পাশে এবং বাড়ির আঙ্গিনায়। এসব নার্সারী করে তাদের মধ্যে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ায় এলাকার তরুণ ও যুবকেরা এ ব্যবসায় ঝুঁকেছেন। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে চারা গাছ বিক্রি করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার শমসেরনগর বিমানবন্দর, পতনঊষার ও কালেঙ্গা এলাকার সড়কের পাশে বেশ কিছু নার্সারী রয়েছে। নার্সারীগুলো এখন চারা গাছে ভরপুর। এসব নার্সারিতে দেশী জাতের চারা গাছ উৎপাদনের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে বিদেশি প্রজাতির গাছের চারা বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে চারা গাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আগাম বৃষ্টিপাত হওয়ায় হঠাৎ করে চারা গাছ বিক্রি বেড়ে যাওয়ার নার্সারী মালিকেরা আনন্দিত।
সিলেট থেকে চারা গাছ নিতে আসা মানিক মিয়া বলেন, এই উপজেলার নার্সারীগুলো সারা বিভাগে পরিচিত। ফলদ, বনজ ও ফুল গাছের ৩০০ চারা ক্রয় করেছি। বৃষ্টি পড়ার সাথে সাথে চারা গাছ কিনতে চলে আসলাম, পরে আসলে চাহিদা অনুযায়ী চারা পাবো না।
বিসমিল্লাহ নার্সারী থেকে চারা গাছ ক্রয় করতে আসা খুচরা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, আগাম বৃষ্টি হওয়ায় খুচরা ক্রেতাদের মাঝে চারা গাছ কেনার চাহিদা বেড়েছে। আজ এক হাজার গাছ ক্রয় করেছি। এগুলো ভ্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন বাজারে বিক্রির জন্য পাঠাবো।
নার্সারি ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হওয়া শমশেরনগরের ঈগল ও ফ্লাওয়ার গার্ডেন নার্সারির মালিক আজাদুর রহমান বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চারা গাছ সংগ্রহ করি, আবার সারা দেশে বিক্রিও করি। বৈশাখের প্রথম বৃষ্টির পর চারা বিক্রি শুরু হলেও এবার আগাম বৃষ্টি হওয়ায় এখন থেকেই চারা গাছ বিক্রি হচ্ছে। করোনাকালীন সময় থেকে আগের চেয়ে গাছের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। নার্সারী ব্যাবসায় স্বল্প পুঁজিতে সঠিক নিয়মে পরিশ্রম করলে দ্রুত সময়ে লাভবান হওয়া যায়। আমার নার্সারীতে প্রতিদিন ১০-১২ জন মানুষ কাজ করেন। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নার্সারীতে কাজ করছি।
উপজেলার বিউটি নার্সারীর মালিক বেলাল হুসাইন বলেন, এ মৌসুমে আগাম বৃষ্টি হওয়ায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। বৃষ্টির কারণে চারা গাছগুলো দ্রুত সময়ে বেড়ে উঠবে। আমাদের কাছ থেকে এখন প্রতিদিন ছোট ছোট খুচরা ব্যবসায়ীরা গাছ কিনে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করছেন। যারা আগাম চারা কিনে তারা ভালো গাছের চারা পায়।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন, এ উপজেলায় ছোট বড় অনেক নার্সারী আছে। এখানকার মাটি ভালো থাকায় নার্সারী ব্যবসায় লাভজনক। কৃষি অফিস থেকে তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়। #
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply