ফুলবাড়ীতে চলমান কর্মসৃজন কর্মসূচিতে বেড়েছে কৃষি শ্রমিকের সংকট  ফুলবাড়ীতে চলমান কর্মসৃজন কর্মসূচিতে বেড়েছে কৃষি শ্রমিকের সংকট  – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ০৪:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে যেকোন সময় অন্ধকারে পারাবত ট্রেনের ১০ কিলোমিটার পথচলা কুলাউড়ায় অনলাইন এইবেলার পরিচালক মোহাম্মদ সালামের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় মাধবপুরে “পার্টনার” কংগ্রেস অনুষ্ঠিত : কৃষি পুষ্টি ও উদ্যোক্তা বিকাশে নতুন দিগন্ত কুলাউড়ায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালককে হত্যা কমলগঞ্জে ১৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠালো ভারত কুলাউড়ায় প্রান্তিক পেশাজীবি জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনার কুলাউড়ায় পুষ্টি সপ্তাহ শুরু ফুলবাড়ীতে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভা অল্পের জন্য বড় দু র্ঘ ট না থেকে রক্ষা পেল কালনী এক্সপ্রেস

ফুলবাড়ীতে চলমান কর্মসৃজন কর্মসূচিতে বেড়েছে কৃষি শ্রমিকের সংকট 

  • সোমবার, ১৬ মে, ২০২২
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ১৪মে শনিবার দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় গৃহীত অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচির সুবিধাভোগী নারী ও পুরুষদের মাধ্যমে সড়কে মাটি কাটা কাজের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে চালু করা হয়েছে।
এদিকে চলতি ইরি -বোরো মৌসুমের ধানকাটার সময়ে এ কর্মসূচি চালু হওয়ার ফলে ধানকাটা শ্রমিকের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। শ্রমিক সংকটে ক্ষেতের পাকাধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বহু কৃষক। দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রমে উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে অতিদরিদ্রদের এ কর্মসূচি সাময়িক বন্ধের দাবি তুলেছেন কৃষকেরা।
উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ঘোগারকুটি গ্রামের কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, আমার এলাকার যারা ধানকাটার কাজ করতো তাদের অনেকেই বর্তমানে মাটি কাটার কাজে গেছে।
আমরা শ্রমিকের অভাবে ধান কেটে আনতে পারছি না। ক্ষেতের পাকা ধান ক্ষেতেই ঝরে যাচ্ছে। পূর্ব ধনিরামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এবারে ৬বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করেছি। ক্ষেতের ধান পেকে গেছে কিন্তু শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে পাচ্ছি না।
প্রতি বিঘা জমির ধান কাটতে ৬ হাজার টাকা করে দিতে চাচ্ছি তবুও শ্রমিক মিলছে না। শ্রমিকের অভাবে যদি পাকা ধান ক্ষেতেই নস্ট হয়ে যায় এর থেকে কস্টের আর কি হতে পারে?
সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামের কৃষক আব্দুল আউয়াল ও আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এবারে মৌসুমের শুরুতে বিঘা প্রতি ২হাজার টাকায় বিনিময়ে শ্রমিকরা ধান কাটার কাজ করতো।
কিন্তু মাটি কাটা কর্মসূচি চালু হওয়ার পর থেকে বিঘায় ৪- ৬হাজার টাকা দিয়ে ধান কেটে নিতে হচ্ছে। টাকা বেশি দিয়েও ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। যেসব শ্রমিক ধান কাটার কাজ করে তারা তো বর্তমানে সড়কে মাটি কাটা কাজ করছে। যার ফলে ধান কাটার শ্রমিকের সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা ধান কাটার ভরা মৌসুমে কর্মসৃজন কর্মসূচি সাময়িক বন্ধের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাচ্ছি।
সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামের আঃ গণি মিয়া, হেলাল উদ্দিন, আক্কাস আলী ও একরামুল হক সহ কর্মসৃজন কর্মসূচির সুবিধাভোগী অনেকেই বলেন, আমরা এখানে মাটি কাটার কাজ করে দৈনিক ৪শ’ টাকা করে মজুরি পাচ্ছি। যারা ধান কাটার কাজ করছে তারা তো দিনে ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকা করে আয় করছে। ধান কাটার কাজ আরো সপ্তাহ খানেক থাকবে। এই কয়দিন যদি মাটি কাটার কাজ বন্ধ থাকতো তাহলে আমরা ধান কেটে বেশি টাকা আয় করতে পারতাম।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় গৃহীত অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচীতে উপজেলার ৬ ইউনিয়নে মোট সুবিধাভোগী ২হাজার ৩৬০জন।
এ কর্মসূচি সারাদেশে একযোগে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ধান কাটার জন্য কার্যক্রম বন্ধ রাখার কোন নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews