‘
এইবেলা, কুলাউড়া :: এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর তীরে বন্যার পানিতে ভাসছে গবাদি পশু। বন্যার পানিতে পচে গলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বাতাসে। ফলে পানি ও বাতাসের দুষিত গন্ধে নতুন এক দুর্ভোগ দুর্বিষহ করে তুলেছে বানভাসি মানুষকে। ভয়াবহ পরিবেশ দুষনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষ।
কুলাউড়া উপজেলার রঙিরকুল ও রামপাশা এলাকায় ধলিয়া বিলে গবাদি পশু ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন জানান, তীব্র খাদ্য সংকটের কারণেই মারা যাচ্ছে গবাদি পশু। একমাত্র কচুরিপানা আর কিছু নেই গোখাদ্য। কচুরিপানা অধিক খেলে গরুর পাতলা পায়খানা হয়ে। দীর্ঘ দিন খাওয়ানোর ফলে গরু দুর্বল হয়ে মারা যায়। মহিষ, গরু, ছাগল এবং পোলট্রি মোরগে ব্যাপক মোড়ক লেগেছে। মারা যাওয়া এসব গবাদি পশু মাটিতে পুতার মতো শুকনো জায়গা না থাকায় মানুষ ভাসিয়ে দিচ্ছে বানের জলে। এতে পানি ও বাতাস দুটোই দুষিত হচ্ছে।
দুর্গন্ধ এবং অনেকটা কালো রঙ ধারণ করেছে বন্যার পানি। এই পানিতে কোন কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। পানিবাহিত রোগ ফুটপাচড়া এবং ডায়রিয়া প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্চে এসব রোগে।
উপজেলা পশু সম্পদ হাসপাতালে এ সংক্রান্ত কোন তথ্য নেই। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিতুল সরকার জানান, তিনি প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যস্ত। পশু হাসপাতালে অবসর সময়ে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। তখন গবাদি পশুর মড়ক নিয়ে কথা বলবেন বলে জানান। মারা যাওয়া গবাদি পশু পানিতে না ভাসিতে কষ্ট করে হলেও মাটিতে পুতে ফেলার চেষ্টা করতে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস আক্তার জানান, বন্যা কবলিত কুলাউড়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ টিম কাজ করছে। তাছাড়া উপজেলা হাসপাতালেও রয়েছে একটি বিশেষ টিম। যারা সার্বক্ষণিক বন্যা দুর্গত মানুষের সেবা নিশ্চিত করছে।
তিনি আরও জানান, কোন কাজে বন্যার পানি ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া যারা বন্যার পানিতে হাটাচলা করেন তারা সাথে বিশুদ্ধ পানি ও সাবান দিয়ে হাতপা ধুয়ে নিতে হবে। নতুবা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। #
Leave a Reply