এইবেলা, কুলাউড়া :: ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলণে গ্রান্টারের জন্য ব্যাংকের কথা বলে নিরিহ মহিলাকে ফুসলিয়ে কুলাউড়া শহরে নিয়ে দলিলে টিপসহি গ্রহণ করে প্রতারণার মাধ্যমে জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়া হয়। এঘটনার প্রতিবাদ জানালে প্রতারক চক্র প্রতিপক্ষকে ফেন্সিডিল দিয়ে ফাঁসাতে ব্যর্থ হয়ে সাজানো ডাকাতির মামলা দায়ের করেছে। কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বিলেরপার গ্রামের লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমরা একই এলাকার এবং লিয়াকত আলী আমার মামাতো ভাই ও মুক্তিযোদ্ধা আমির আলী ইয়ামিছের সন্তান হওয়ার সুযোগে আমার সহজ সরল নিরিহ মায়ের জমি দখলের পায়তারায় লিপ্ত ছিল। লিয়াকত আলী ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলণের জন্য গ্রান্টারের কথা বলে আমার মা আছিরা বেগমকে ফুসলিয়ে কুলাউড়ায় নিয়ে যায়। সেখানে পূর্বে সে দলিল তৈরি করে রাখে। লেখাপড়া না জানার সুযোগে আমার মাকে সুকৌশলে কুলাউড়ায় নিয়ে লিয়াকত গ্রাম্য মুহুরীর মাধ্যমে একজন দলিল লিখকের কাছে গিয়ে দলিলে টিপসহি নিয়ে নেয়। কয়েকটি দাগে প্রায় ৪০ শতক জায়গা তার নামে রেজিষ্ট্রিও করে নেয়।
তার প্রতারণামূলক কার্যক্রম জানাজানি হলে আমরা এলাকার মায়মুরুব্বি ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দকে অবহিত করি। লিয়াকত আলী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ে নিজেকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাই এলাকার কারো কথা রাখেনি। এক পর্যায়ে অতি সুকৌশলে আমাদেরকে ঘায়েল করতে নাটক সাজাতে থাকে।
আব্দুল কুদ্দুস আরও বলেন, গত ৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় ফেনসিডিল দিয়ে নাটক সাজিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালায়। এরপর সে গত ৭ নভেম্বর কুলাউড়া থানায় আমরা ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তার নাটকের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ও প্রশাসনের মধ্যে প্রকাশ হলে আবারো ওইদিন দিবাগত রাত সাড়ে ৪ঘটিকায় একইভাবে তার নিজের ঘরে একটি ডাকাতির ঘটনা সাজায়। পরদিন ৮ নভেম্বর সাজানো ডাকাতির ঘটনা লোকমুখে ও ফেসবুকে প্রচার করে আমাদেরকে আসামী করে কুলাউড়া থানায় ডাকাতির লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশি তদন্তকালে বিষয়টি লিয়াকত ও তার সহযোগিদের প্রতারনা ও সাজানো ঘটনা প্রকাশ পায়। লিয়াকতের প্রতারণা ও ষড়যন্ত্র চক্রান্তের বিরুদ্ধে গত ১৫ নভেম্বর আমার মামা আছকর আলী বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এভাবে একের পর এক প্রতারণা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আমাদের হয়রানি করতে সর্বশেষ গত ১৪ নভেম্বর লিয়াকত বাদি হয়ে আমার বড় ভাই মুখজ্জিল মিয়া ও অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মৌলভীবাজারে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। তার মিথ্যা-বানোয়াট মামলার সংবাদ পেয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
লিয়াকতের প্রতারণা ও সাজানো ডাকাতি ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দায়েরকৃত মামলার স্বাক্ষী আহমদ আলী, শরীফ উদ্দীন এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা মান উল্ল্যাহ, গ্রামের মুরুব্বি আছকর আলী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাসুক মিয়া, আব্দুল খালিক, উম্মর আলী, মায়া মিয়া, মনির মিয়া, আরজু মিয়া প্রমুখ।
তবে অভিযোগ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে লিয়াকত আলী জানান, দায়েরকৃত মামলার ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য। তারা বাঁচার তাগিদে নানা কৌশল নিচ্ছে। পুলিশ মামলা না নেয়ায় আদালতে মামলা দিয়েছি।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেক জানান, লিয়াকতের অভিযোগ পেয়ে আমাদের তদন্তকালে ওই রাত ৩টা ৪৫ ঘটিকায় পুলিশ সদস্যরা লিয়াকতকে পাইকপাড়া বাজারে পায়। তদন্তে তার অভিযোগ সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে। #
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply