বড়লেখা প্রতিনিধি::
বড়লেখায় ফ্রান্স প্রবাসী নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রহিমা আক্তারের ৬৭ শতাংশ খরিদা কৃষি জমির ওপর জনৈক আব্দুল হক আদালতে পিটিশন মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত ভূমির ওপর ফৌজদারী কার্য বিধির ১৪৪ ধারা জারি থাকায় পাকা ধান ঝরে পড়ছে।
জানা গেছে, ফ্রান্স প্রবাসী উপজেলার পাবিজুরীপার গ্রামের নজরুল ইসলাম পূর্ব-দৌলতপুর মৌজার আরএস ১৪৫ নম্বর দাগের সাইল রকম শ্রেণির ৩৬ শতাংশ ভূমি ২২৫৩ নম্বর দলিলে ভবান ভট্টশ্রী গ্রামের মৃত নুরুজ আলীর স্ত্রী ময়মুন নেছার নিকট থেকে ক্রয় করেন। নিজের নামে নামজারী ও খাজনা পরিশোধ করে বর্গাচাষী দিয়ে তিনি ধান চাষ করেন। এর আগে প্রবাসী নজরুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা আক্তার ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর একই দাগের আরো ৩১ শতাংশ ভূমি ২৯৮৫ নম্বর দলিলে মৌরসী মালিক কামিল আহমদ, ফেরদৌসী আক্তার ও ময়মুন নেছার নিকট থেকে ক্রয় করে ভোগারিকার শুরু করেন। উক্ত ভূমি নিজের নামে নামজারী ও খাজনা পরিশোধ করেন। প্রায় ৪ বছর ধরে বর্গাচাষী দিয়ে ধান চাষ করে ফসল ঘরে তুললেও এবার ধান পাকার আগেই ভবান ভট্টশ্রী গ্রামের মৃত ছিফত আলীর ছেলে আব্দুল হক গত ২১ অক্টোবর উক্ত ভূমি নিজের মৌরসী দাবী করে দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগ এনে প্রবাসী নজরুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা আক্তার ও তাদের পক্ষের ৫ জনের বিরুদ্ধে বড়লেখা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা (৬৫/২২) দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত উক্ত ভূমির ওপর ১৪৪ (স্থিতাবস্থা) জারি করেন।
সরেজমিনে একই দাগের ৩৬ শতাংশ ও ৩১ শতাংশ ভূমির ওপর লাগানো সাইল ধান পেকে ঝরে পড়তে দেখা গেছে। প্রবাসী নজরুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা আক্তার অভিযোগ করেন বৈধ কাগজপত্র, নামজারী পর্চা, খাজনা পরিশোধ স্বত্তে¡ও হয়রানীর উদ্দেশ্যে আব্দুল হক তাদের ক্রয়কৃত ভূমির ওপর আদালতে মিথা মামলা দিয়েছে। প্রায় ১৫-২০ আগেই ক্ষেতের ধান পেকে গেছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় ধান কাটতে পারছেন না। এতে পাকা ধান মাঠেই ঝরে পড়ছে।
এব্যাপারে জানতে আব্দুল হকের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। গত ৩ দিন ধরে মোবাইল নম্বরে বারবার যোগাযোগ করা হলে রিং বাজলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এজন্য তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply