বড়লেখা প্রতিনিধি
এবারের ঈদের ছুটিতে দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক জলপ্রপাত ও দ্বিতীয় বৃহত্তম ইকোপার্ক মাধবকুণ্ডে পর্যটকের ঢল নেমেছে। যা গত ৪-৫ বছরের মধ্যে সর্বাধিক বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। আনন্দ উপভোগে পর্যটকরা জলপ্রপাতের বিপজ্জনক জোন অতিক্রম করে উন্মাদনায় মেতে উঠায় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। ঈদের দিন অন্তত ত্রিশ হাজার পর্যটকসহ গত তিন দিনে (সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত) লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম ঘটে এই বিনোদন কেন্দ্রে। তবে কর্তৃপক্ষের নানা অব্যবস্থপনায় পর্যটকদের নানা দুর্ভোগ পোয়াতে হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের প্রধান ফটক থেকে জলপ্রপাত পর্যন্ত প্রবেশ রাস্তায় অবৈধ দোকান বসিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে নারী ও শিশু পর্যটকসহ সাধারণ দর্শনার্থীদের দুর্ভোগ পোয়াতে হয়েছে। জেলা পরিষদের নিযুক্ত গাড়িপার্কিংয়ের ইজারাদার মোটরসাইকেলের টোল আদায় করলেও পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা না করায় পুনরায় ব্যক্তিগত অর্থব্যয়ে পর্যটকদের মোটরসাইকেল রাখতে হয়েছে। ঢাকা থেকে আগত পর্যটক রুহান আহমদ জানান, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঈদের ছুটিতে বেড়াতে আসলাম। রাস্তায় দোকানপাট বসিয়ে রাখায় মুল জলপ্রপাতে যেতে মারাত্মক দুর্ভোগ পোয়াতে হয়েছে। মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ও সাহাব উদ্দিন জানান, জলপ্রপাতের বিপজ্জনক স্থানে পর্যটকরা সাতার কাটার উন্মাদনায় মেতে উঠলেও কাছে অবস্থানরত পর্যটক পুলিশকে নির্বাক বসে থাকতে দেখা গেছে। অতীতে জলপ্রপাতে সাতার কাটতে গিয়ে অনেক কিশোর-তরুণ পর্যটককে প্রাণ হারাতে হয়েছে। পর্যটক পুলিশ ও বনবিভাগের উদাসীনতায় যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
মাধবকুণ্ড পর্যটক পুলিশের ইন্সপেক্টর আতিকুর রহমান জানান, এবার ঈদে মাধবকুণ্ডে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। পর্যটকের হয়রানী রোধ, নিরাপত্তায় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। যার কারণে গত তিন দিনে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জলপ্রপাতের ডেঞ্জারজোনে পর্যটকরা যাতে প্রবেশ না করেন সেজন্য পর্যটক পুলিশ সতর্কতামুলক মাইকিং করছে। কেউ তা অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply