কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের আদকানি-খাপার বাজার এলাকায় এক কি.মি. রাস্তায় নিম্নমানের কাজ চলছে। রাস্তা সংস্কার ও কার্পেটিং এর জন্য খনন না করেই মাটি ও পানির উপর নিম্নমানের ইটের খোয়া ফেলে জোড়াতালি দিয়ে চলছে কার্পেটিং কাজের প্রস্তুতি। স্থানীয় চেয়ারম্যান আপত্তি জানালেও তা দেখার কেউ নেই। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সড়কের কাজের বেহাল দশায় দ্রুত সময়ে রাস্তা ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে আধকানি-খাপার বাজার এলাকায় এক কি.মি. রাস্তার সংস্কার ও কার্পেটিং এর কাজ চলছে। তবে কাজের এলাকায় কোথাও কোন সাইনবোর্ড নেই। অর্ধ কিলোমিটার রাস্তা খনন করে কনক্রিট ও বালি ফেলার কথা। অবশিষ্ট অর্ধ কিলোমিটার রাস্তায় কনক্রিট ও বালি দিয় কার্পেটিং করার কথা। বাস্তবে এসব কিছুই হচ্ছে না। প্রায় ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজ সম্পন্ন হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে গ্রাম্য এলাকায় থাকায় সংশ্লিষ্টরা এসব বিষয়ে দেখভালের কোন গুরুত্ব মনে করছেন না। ফলে ঠিকাদার তার ইচ্ছেমতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। রাস্তা খনন করে বালি ও কনক্রিট দেয়ার কথা থাকলেও তার কিছুই হচ্ছে না। রাস্তায় মাটি ও জমে থাকা পানির উপরে অতি নিম্নমানের কনক্রিট ফেলে রুলার করা হচ্ছে। নিম্নমানের কাজ হওয়ার কারনে স্থানীয় চেয়ারম্যানও আপত্তি জানিয়েছেন।
আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন বলেন, রাস্তায় যেভাবে কাজ হওয়ার কথা সেভাবে কাজ হচ্ছে না। হাফ কি.মি. রাস্তা ভেঙ্গে আর অবশিষ্ট হাফ কি.মি. রাস্তায় সংস্কার ও কার্পেটিং হওয়ার কথা। তবে এভাবে কাজ হচ্ছে না এবং এলজিইডি অফিসের কেউও তদারকি করছেন বলে মনে হয় না। ফলে অল্পতেই রাস্তাটি আবারো ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে রাস্তার কাজের ঠিকাদার হিমাংসু দেব এর মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযোগ বিষয়ে এলজিইডি কমলগঞ্জ অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম বলেন, ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। কাজটি আমি তদারকি করছি। কাজে কোন অনিয়ম হচ্ছে না। যথাযথভাবেই কাজ হচ্ছে। তবে ঠিকাদার ভারতে চলে যাওয়ায় তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।#
Leave a Reply