আজিজুল ইসলাম ::
এসব খিচুড়ি গিলতে হবে আমাদের আগামী প্রজন্মকে। খিচুড়ি বলার কারণ হলো নিচে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার যে চিত্র দেয়া হয়েছে। ৩য় শ্রেণির আগে কোন পরীক্ষা নেই। ১০ম শ্রেণির আগে কোন পাবলিক পরীক্ষা নেই। কিন্তু ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে দুটি বৃত্তি পরীক্ষা হতো, সেগুলো বাতিল হয়ে গেছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই দুটি বৃত্তি পরীক্ষা তুলে দেয়ায় লাভ হলো না ক্ষতি? আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা অনুধাবন করবো সময়ের পরিক্রমায়। এই দুটি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা যে প্রস্তুতি নিতো তাতে এসএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা খুব সহজ হয়ে যেতো।
আমরা একনজরে দেখে নেই কি থাকছে নতুন শিক্ষা কারিকুলামে-
® সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন।
® ক্লাস টেনের আগে কোনো পাবলিক পরীক্ষা নেই।
® ক্লাস 3 এর আগে কোনো পরীক্ষাই নেই!
® এসএসসি -তে মাত্র ৫ বিষয়ের পরীক্ষা। বাংলা, ইংলিশ, ম্যাথ, সায়েন্স ও সোশ্যাল সায়েন্স। কোনো পত্র নেই। মাত্র ৫ দিনেই শেষ।
® সায়েন্স, আর্টস, কমার্স গ্রুপিং হবে ইন্টারমিডিয়েটে।
® হাইস্কুল লেভেলে বিষয় থাকবে ১০ টি:
কিন্তু এস এস সি তে পরীক্ষা হবে ৫ টি
– বাংলা
– ইংরেজি
– গণিত
– জীবন ও জীবিকা
– বিজ্ঞান
– সামাজিক বিজ্ঞান
– ডিজিটাল প্রযুক্তি
– ধর্মশিক্ষা
– ভালো থাকা
– শিল্প ও সংস্কৃতি
২০২৬ এ এইচএসসি
২০২৪ এ নবম শ্রেণি
® ইন্টারমিডিয়েটে সাবজেক্ট ৬টা। প্রত্যেকটার পত্র ৩ টা করে। ফার্স্ট ইয়ারে সবগুলোর প্রথম পত্রের পাবলিক এক্সাম। সেকেন্ড ইয়ারে সেকেন্ড ও থার্ড পার্টের। তারপর ২ এক্সাম মিলিয়ে চূড়ান্ত এইচএসসির রেজাল্ট।
হাইস্কুল লেভেলে বিষয় থাকবে ১০ টি কিন্তু এস এস সি তে পরীক্ষা হবে ৫ টি। তাহলে কেন শিক্ষার্থীকে ১০ বই বহন করে স্কুলে নিয়ে যেতে হবে। পরীক্ষা যখন ৫টি বিষয়ে হবে তাহলে কেন ক্লাসে ১০টি বিষয় পড়ানো হবে। সেগুলো তার কি কাজে লাগবে? আমার ব্যক্তিগত অভিমত – জীবন ও জীবিকা, – ভালো থাকা, – শিল্প ও সংস্কৃতি এই বিষয়গুলো কেন?
ব্যক্তিগতভাবে আমার অভিমত হলো, ৮ম শ্রেণি থেকে শিক্ষার্থীদের দুটি ধারায় বিভক্ত করা হোক। যারা পড়ালেখা করবে তারা- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ধর্মশিক্ষা এসব বিষয়গুলো নিয়ে উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণ করবে। আর বাকিদের করিগরি শিক্ষা বাধ্যতামুলক করে দেয়া। কারিগরি শিক্ষার প্রতি যতক্ষণ না এগিয়ে যাবে, ততক্ষণ মানুষকে মানব সম্পদে রূপান্তর করা সম্ভব হবে না।#
Leave a Reply