কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: অনাকাঙ্খিত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলর গুরুত্বপূর্ণ জনপদ শমশেরনগর বাজারের স্টেশন রোডে অবস্থিত বিসমিল্লাহ্ ক্লথ স্টোর এর ব্যবসায়ের সুনাম বিনষ্টের পায়তারার প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক। গত ২ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রেতাদের সাথে হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কমলগঞ্জ ইউনিটের শমশেরনগরস্থ কাযার্লয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন প্রতিষ্ঠানের মালিক নোমান আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে নোমান আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার বিকালে নাম না জানা চারজন মেয়ে ক্রেতা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৭ হাজার টাকার কাপড় ক্রয় করেন। এর ঘন্টাঘানেক পর একজন বয়স্ক মহিলা এসে বলেন ড্রেসের সাথে পায়জামা নেই। আমি ওই ড্রেসের জন্য একটি পায়জামা দিয়ে দেই। পরে মহিলা ক্রেতা কাপড় পছন্দ হয়নি দাবি করে টাকা ফেরত চান। তখন ওই মহিলা ক্রেতাকে জানাই আপনার কাছে আমি কোন কাপড় বিক্রি করিনি। যাদের কাছে কাপড় বিক্রি করেছি তারা আসলে আলোচনা করে দেখা যাবে। কিচ্ছুক্ষণ পরেই মহিলা ক্রেতার সাথে কয়েকজন যুবক এসে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাকে দোকান থেকে নামিয়ে মারার হুমকি দেয়। এসময়ে মহিলা ক্রেতা নিরাপদ দুরত্বে অবস্থান করেন। হামলাকারীরা আমার কোন কথা না শুনে গালাগালি করে আমার উপর আক্রমনের চেষ্টা করলে দোকানের কর্মচারীদের সাথে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় আমার দোকানে আসা কয়েকজন শিশু ও মহিলা ক্রেতাও হামলার শিকার হন।
এই ঘটনার পর পরই পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে হামলাকারীরা দলবদ্ধভাবে আমার দোকানে আসেন। পুলিশের কথা অমান্য করে আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে গলায় চেপে ধরে। ঘটনার পর শমশেরনগর বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল হান্নান ও সাবেক সভাপতি আব্দুল মালিক বাবুল তারাবি নামাজের পর বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন এবং দোকান বন্ধ রাখেন। তারা রাস্তায় পেয়ে আমার দোকানের কর্মচারী টিপুল ও আবুলকে মারধোর করে। ভিতর বাজারের খোলা দোকানে আমার বয়স্ক বাবার উপর হামলা চালায়। বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কথা অমান্য করে একইভাবে ভিতর বাজারে বড় ভাই মিজানুর রহমানকেও মারধোর করে। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: রফিকুর রহমান, কমলগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল আলম, শমমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শামীম আকনজীসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পবিত্র ঈদের পর সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রকৃত এই ঘটনাকে প্রকাশ না করে বিভ্রান্তিকর এবং একতরফাভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। এ ঘটনার তদন্তপূর্বক ন্যায় বিচার দাবি করেন ব্যবসায়ী নোমান আহমদ।#
Leave a Reply