এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থীরা ছুটছেন চা বাগানের শ্রমিক ভোটারদের কাছে। বাগানের চা শ্রমিকদের ভোটই কেবল শতভাগ কাষ্ট হয়। ফলে কদর বেড়েছে চা শ্রমিক ভোটারদের। প্রার্থীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন চা বাগান কেন্দ্রিক প্রচারণায়।
কুলাউড়া উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার ২ লাখ ৯০ হাজার ৬৪৮। ১০৩টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহন। মোট ভোটারের মধ্যে ২৬টি চা বাগানে চা শ্রমিকের ভোট ৩৫ সহস্রাধিক। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে মোট ভোট কাষ্ট হয় ৯০ সহস্রাধিক। যার সিংহভাগই চা শ্রমিকদের। ফলে প্রার্থীরা সবারই টার্গেট চা বাগান।
প্রতিক পাওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারণা চলছে ঢিমেতালে। উপজেলা সদরেই কেবল প্রচারণা শুরগোল বেশি। তবে নির্বাচন নিয়ে বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে খুব একটা আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। গ্রামে ভোটের কোন আমেজ নেই। প্রার্থীরা গ্রাম বিমুখ। মানুষ ব্যস্ত বোরোধান কাটা নিয়ে। কেবল হাটবাজার কেন্দ্রিক চলছে গণসংযোগ।
কুলাউড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৩ প্রার্থী এবং ফুলতলী পীর সমর্থিত আল ইসলাহ একমাত্র প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম (আনারস), সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামরুল ইসলাম (কাপপিরিছ) ও সহ-সভাপতি কামাল হাসান (মোটর সাইকেল)। আল ইসলাহ’র প্রার্থী ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান (দোয়াত কলম)।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পড়ে প্রার্থীরা হলেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মইনুল ইসলাম (টিউবওয়েল), পূরন উরাং (টিয়া পাখি), রাজ কুমার কালোয়ার (চশমা) , খেলাফত মজলিসের মো. সাইফুল ইসলাম কুতুব (তালা) ও আল ইসলাহ’র মো: আফজাল হোসেন (বই)।
সংরক্ষিত নারী আসনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেহা ফেরদৌস পপি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নেহার বেগম ।
সরেজমিন বিভিন্ন চা বাগান ঘুরে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় এবং উপজেলা ভাই চেয়ারম্যান পড়ে ২ চা শ্রমিক নেতা প্রার্থী হওয়ায় ভোট ব্যাংক খ্যাত চা শ্রমিকদের ভোটেও ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিক পঞ্চায়েতে শ্রমিক কমিটির নেতারা একজনের পক্ষে গেলে পঞ্চায়েতের সাবেক নেতারা অন্য প্রার্থীর পক্ষ নিচ্ছেন। ফলে চা শ্রমকিদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। #
Leave a Reply