এইবেলা, বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :
বড়লেখায় দোকানের তালা ভেঙে চুরি করে নিয়ে যাওয়া কম্পিউটার ও মুঠোফোন উদ্ধার ও চুরির ঘটনায় জড়িত ৫ চোরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- উপজেলার তালিমপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে হালিমুর রশীদ হালিম (২০), বড়লেখা সদর ইউনিয়নের গঙ্গারজল গ্রামের শফিক উদ্দিনের ছেলে জহির আহমদ (২১), আব্দুল খালিকের ছেলে সুজন আহমদ (২২), জফরপুর গ্রামের মৃত মনির আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪০) ও নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চান্দগ্রামের মৃত মখদ্দছ আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (২২)।
জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত রাতে বড়লেখা কলেজ রোড এলাকার উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদের মার্কেটের ব্যবসায়ী আশীষ চন্দ্র নাথের অন্নপূর্ণা এন্ড আঁখি ফটোস্ট্যাট ও ক¤িপউটারের দোকানে চোররা হানা দেয়। চোরেরা দোকানের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে একটি ডেক্সটপ ক¤িপউটার, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঁচটি মুঠোফোন ও ক্যাশবক্স ভেঙে ৪ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে যায়। পরদিন ভোরে স্থানীয়রা দোকান মালিক আশীষ চন্দ্র নাথকে জানান তার দোকানের শার্টার খোলা। পরে তিনি দোকানে এসে দেখেন তার দোকানের তালা ভাঙা ও শার্টার খোলা। ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন দোকানের একটি ডেক্সটপ ক¤িপউটার, বিভিন্ন র্ব্যান্ডের পাঁচটি মুঠোফোন ও ক্যাশবক্স থাকা নগদ টাকা ৪ হাজার ৮০০ টাকা নেই। এই ঘটনায় ওই দিনই তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার দাস ও সহকারি পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেন বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চুরির সঙ্গে জড়িত হালিমুর রশীদ হালিমকে গ্রেফতার করেন। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একে একে জহির আহমদ, সুজন আহমদ ও শফিকুল ইসলাম গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যে চুরি হওয়া কম্পিউটার ও মুঠোফোন চান্দগ্রাম বাজারের আরিয়ান টেলিকম থেকে উদ্ধার এবং দোকান মালিক সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
এসআই সুব্রত কুমার দাস জানান, দোকান মালিকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে হালিমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একে একে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছেন। শুক্রবার চুরির কথা স্বীকার করে হালিমুর রশীদ হালিম ও জহির আহমদ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।#
Leave a Reply