হাকালুকি অর্ন্তভুক্ত হচ্ছে মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পে, অতিরিক্ত মহাপরিচালকের পরিদর্শন হাকালুকি অর্ন্তভুক্ত হচ্ছে মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পে, অতিরিক্ত মহাপরিচালকের পরিদর্শন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ‘ফ্রেন্ডশিপ’ এর জেলা পর্যায়ে মর্যাদাপূর্ণ ‘প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক এ্যাওয়ার্ড’ অর্জন ওসমানীনগর উপজেলা প্রশাসনের বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা কমলগঞ্জে ইউপি সদস্যের বন সংলগ্ন সরকরি জমি দখল করে ঘর নির্মাণ চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কমলগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা রাজনগরে ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু নবীগঞ্জে ‘সনাতন-দীননাথ কল্যাণ ট্রাস্ট’-এর উদ্যোগে সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত  কুলাউড়া রাস্তা জবর দখলের চেষ্টা শীর্ষক সংবাদের সংশোধন কুলাউড়ার লক্ষ্ণীপুর চা বাগান ভূমিখেকোদের কবল থেকে উদ্ধার ও চা শ্রমিকদের পূর্নবাসনের দাবী সিলেটে যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় চান্সপ্রাপ্তদের নিয়ে প্রি-ডিপার্চার সেশন অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মতবিনিময়- কোনভাবেই ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করা যাবে না

হাকালুকি অর্ন্তভুক্ত হচ্ছে মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পে, অতিরিক্ত মহাপরিচালকের পরিদর্শন

  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪

বড়লেখা প্রতিনিধি::

দেশের সর্ববৃহৎ মিঠাপানির জলাভূমি ও মাৎস্য সম্পদের আঁধার হাকালুকি হাওর অর্ন্তভুক্ত হতে যাচ্ছে মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পে। উন্নয়ন প্রকল্পভুক্ত করণের লক্ষে মৎস্য অধিদপ্তর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে হাওরের আটটি স্থায়ী মৎস্য অভয়াশ্রমকে মৎস্য অধিদপ্তরে অর্ন্তভুক্ত করে মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলিত অর্থ বছরে অভয়াশ্রমগুলোর প্রাথমিক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। গত সোমবার (২০ মে) কয়েকটি স্থায়ী অভয়াশ্রম জলমহাল পরিদর্শন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক (মৎস্য) মো. আনোয়ার হোসেন, মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহনেওয়াজ সিরাজী, বড়লেখা উপজেলা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিসবাহ উদ্দিন আফজল, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জুড়ী মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

জানা গেছে, হাকালুকি হাওরে ছোটবড় ২৪০টির মতো জলমহাল রয়েছে। এগুলো ইজারা দিয়ে সরকার বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করলেও হাকালুকির মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে তেমন কোনো কার্যকর প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন হাকালুকি হাওরের মৎস্যসম্পদ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় সরকার ২০১০ এবং ২০১১ সালে ১৮টি বিলের (জলমহাল) ইজারা বাতিল করে স্থায়ী অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। পরে পাঁচটি অভয়াশ্রম বিল বিভিন্ন মৎস্যজীবী সমিতির নামে ভূমি মন্ত্রণালয় ইজারা দিয়ে ফেলে। এ অবস্থায় মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন ইজারা থেকে বাদ পড়া ছয়টি বিল অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয় পরিবেশ অধিদপ্তরের সমাজভিত্তিক জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পকে (সিবিএ-ইসিএ)। এতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রক্ষকরা ভক্ষকের ভুমিকায় নেমে পড়ায় গত ১২-১৩ বছরে হাকালুকির অভয়াশ্রম ঘোষিত বিলের তেমন কোন সুফল মিলেনি।

অবশেষে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ভূমি মন্ত্রণালয় হাকালুকি হাওরের এই আটটি অভয়াশ্রম রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রদান করে মৎস্য অধিদপ্তরকে। এরপরই মৎস্য অধিদপ্তর রাজস্ব খাতের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে অভয়াশ্রমের মাৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এতে পাল্টে গেছে অভয়াশ্রমগুলোর রুগ্ন চিত্র।

মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান জানান, হাকালুকি হাওড়কে মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত করার কাজ শুরু করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। হাকালুকির স্থায়ী অভয়াশ্রমগুলো মৎস্য বিভাগে ন্যাস্তের পর মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দেশিয় মাছের বিলুপ্তি ঠেকাতে ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই প্রকল্প ও হাকালুকিকে মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পভুক্ত করার ব্যাপারে সরেজমিনে হাওড় ও স্থায়ী অভয়াশ্রমগুলো পরিদর্শন করেন এবং কথা বলেছেন স্থানীয় জেলে, উপকারকারভোগি ও হাওড়পারের জনসাধারণের সাথে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews