এইবেলা কুলাউড়া :: ভারী বর্ষণ ও উজানী ঢলে সিলেট-আখাউড়া রেলপথের মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ছকাপন এলাকায় কিছু স্থানে পানি উঠে গেছে। এতে গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচলে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কুলাউড়া জংশন ও বরমচাল স্টেশনের কাছে ছকাপন রেলস্টেশনের মাঝখানে রেলপথে পানি ওঠায় ওই অংশে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর জন্য নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এদিকে শুক্রবার সকালে বিভাগীয় প্রকৌশলী -২ ঢাকা এস এম মাহমুদুর রহমান ও সিলেটের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ মো. আজমাইল মাহতাব স্থানটি পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে রেলওয়ের কুলাউড়া জংশন স্টেশনে দায়িত্বে থাকা ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. মোজাম্মেল হক বলেন, কুলাউড়া-সিলেট রেলপথের কুলাউড়া জংশন স্টেশন থেকে ছকাপন রেলস্টেশনে যেতে কিছু অংশ হাওরের কাছে পড়েছে। ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে হাওরের পানি উপচে সেখানে রেলপথ প্লাবিত হয়েছে। ওই স্থানে রেলের স্লিপারে পানি উঠে গেছে, তবে রেললাইন ভেসে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিকভাবে এই রেলপথে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে। বুধবার ওই স্থানে ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালাতে বলা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা সরেজমিন ওই স্থান পরিদর্শনে যান। শুক্রবার সকালে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ স্থানটি পরিদর্শন করে যান৷ পানি বাড়ায় গতি আরও কমিয়ে ১০ কিলোমিটার করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বন্যাপ্লাবিত স্থানের দুই পাশের কুলাউড়া জংশন ও মাইজগাঁও রেলস্টেশনের মাস্টারদের এ বিষয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। ওই স্থানে পাহারাদার রাখা হয়েছে। অবস্থার অবনতি ঘটলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতি কমানোর নির্দেশনা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনের মাস্টার রোমান আহমদ বলেন, রেললাইনের ওপর বন্যার পানি এখনও স্থির রয়েছে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক সব ট্রেন চলাচল করছে। ওই রেলপথ দিয়ে প্রতিদিন সিলেট থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী বিভিন্ন আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেন চলাচল করে।
Leave a Reply