কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সিদ্দিকুর রহমান সিয়াম ও মো. জালাল আহমদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাড়ী থেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ অভিযোগ করে গত রোববার রাতে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করে নির্যাতিতার মা জামিলা বেগম।
নির্যাতনের শিকার কিশোরী পুলিশ হেফাজতে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষক সিদ্দিকুর রহমান সিয়াম ও মো, জালাল আহমদকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নের ভূঁইগাও গ্রামের ছুরুক মিয়ার ছেলে সিদ্দিকুর রহমান সিয়াম (১৯) ও হাসান আলীর ছেলে মো. জালাল আহমদ (২০)।
থানার মামলা সুত্রে জানা যায়, নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রীর বাড়ীর পাশেই আসামীর আত্মীয় বাড়ী হওয়ার সুবাদে এ সম্পর্ক গড়ে উঠায় আসামী সিদ্দিকুর রহমান সিয়াম (১৯) ও তার সহযোগি মো. জালাল আহমদ (২০) প্রায়ই তাদের বাড়ীতে আসা-যাওয়া করত। এ ঘটনার প্রায় তিন মাস পূর্ব থেকেই আসামী তাকে বিভিন্ন সময়ে বিবাহের প্রলোভন দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়ে আসছে সিদ্দিকুর রহমান সিয়াম। কিন্তু আসামীর কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার মোবাইল ফোনে হুমকি ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখাতো বলে মামলায় উল্লেখ করে।
গত ২৬ জুন সকাল ১০ টার দিকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় ভানুগাছ রেল স্টেশনের পাশে আসা মাত্র একটি প্রাইভেট কারে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায় শিক্ষার্থীকে। পরে পরিবারে লোকজন অনেক খোজাখুুঁজির পর গত ২৭ জুন বিকালে বাড়িতে ফিরে আসে। পরে নির্যাতিত ছাত্রীর তথ্য অনুযায়ী ঐ আসামীরা তাকে অপহরণ করে সিলেটে একটি স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষকদের কাছ থেকে পালিয়ে আসে স্কুল ছাত্রী। পরে এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা জামিলা বেগম বাদি হয়ে দুইজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে। ধর্ষনের শিকার ওই কিশোরী কমলগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী।
কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক জানান, স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পরে আসামী দুজনকে আটক করা হয়েছে। নির্যাতিক কিশোরী চিকিৎসাধীন অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে জানান ওসি (তদন্ত)। #
Leave a Reply