বিজ্ঞপ্তি :: সম্প্রতি কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, স্থানীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে সিলেট বনবিভাগের কুলাউড়া রেঞ্জের সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: রিয়াজ উদ্দিনকে জড়িয়ে “রিজার্ভ ফরেস্টের কোটি টাকার গাছ বিক্রির অভিযোগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: রিয়াজ উদ্দিন।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে কুলাউড়া হতে কিছু পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার নামে অসত্য ও বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করে একটি সুযোগ সন্ধানী মহল নানান সংবাদ ও ভিডিও ক্লিপ তৈরী করে পরিবেশন করিয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকৃত তথ্য নিস্নে পরিবেশন করছি।
বরমচাল বিটের ইছলাছড়া এলাকার রিজার্ভ ফরেস্টের প্রায় ১০০০ একর ভূমি দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছর হতে খাসিয়া সম্প্রদায়ের দখলে। তারা বিভিন্ন আদালতে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে যোগ যোগ থেকে বাড়ীঘর তৈরী সহ পানচাষ করে খাচ্ছে। বন বিভাগ বা কোন প্রশাসন তাদেরকে কোন দিন এ বিষয়ে কিছু বলেছে কিনা আমার জানা নেই। আমি ২০২১-২২ সনে উক্ত এলাকায় ১৭.০ হেক্টর বা ৪২.০ একর স্থানে সামাজিক বনায়নের উদ্যেগ নিলে চারা রোপনে খাসিয়ারা বাঁধা দেয় এবং মৌলভীবাজার আদালতে নিষেধাজ্ঞার মামলা করে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা পেয়ে যায় । ফলে চারা রোপন কাজ বন্ধ হয়ে যায়, তাদেরকে কিছু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও প্রশ্রয় দেন। আমি বিজ্ঞ আদালতে শুনানী করিয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করিয়ে এলাকার লোকজনকে নিয়ে সামাজিক বনায়নের বাগান করি। এ বিষয়ে তৎকালীন বিভিন্ন পত্রিকায় ছবিসহ ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়। অর্থাৎ কয়েক যুগ পরে তথায় বন বিভাগের সাইনবোর্ড শোভা পায়। বনায়নের একটু অদুরে দুটি টিলায় বালিকোনা নামক স্থানে অনুমান ১৫ একর ভূমি বেশ কয়েক বছর পূর্বে কয়েকজন বাঙ্গালী খাসিয়াদের দখল হতে উদ্ধার করে আকাশমনি বাগান করেন। এ জায়গাটি খাসিয়ারা তাদের আয়ত্বে নেয়ার জন্য বিভিন্ন পাঁয়তারায় লিপ্ত হয়। এমনকি কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারও আশ্রয় নেয়। কিন্তু বন বিভাগ তথা আমার দৃঢ়তার কারণে তারা সফল হতে পারছিলনা । এক পর্যায়ে কিছু বাঙ্গালীকে ম্যানেজ করে রাতের অন্ধকারে ইওট নামক খাসিয়া তথায় একটি ঘর তোলে। কিন্তু আমরা অর্থাৎ বন বিভাগ ঘরটি ভেঙ্গে দিয়ে ইওট খাসিয়াসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে বিট কর্মকর্তা , বরমচাল বিট বন আদালতে মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে গত রোজার মাসে রাতের অন্ধকারে ইওট ও তার সহযোগীরা মিলে বর্ণিত স্থান হতে গাছ চুরি শুরু করলে বিট কর্মকর্তা গাছ জব্দ ও উদ্ধার পূর্বক মামলা দায়ের করেন। তারা একাধিক বার এ অপচেষ্টা করলে বিট কর্মকর্তা একাধিক মামলা দায়ের করেন। আমি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং গন্যমাণ্য ব্যক্তিগণ সমন্বয়ে একাধিক বৈঠক করে গাছ চুরি বন্ধ করার ব্যবস্থা করি। ফলশ্রুতিতে উক্ত স্থানে এখনও শত শত গাছ দাঁড়িয়ে আছে। এর মধ্য উক্ত স্থানে খাসিয়ারা সুপারী চারা রোপনের চেষ্টা চালায়, বিট কর্মকর্তা থানায় জিডি করেন এবং আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কুলাউড়াকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানাই। এ এলাকা নিয়ে ইতিপূর্বে মাননীয় জেলা জজ আদালত মৌলভীবাজার হতে স্থিতাবস্থা জারী হয়। কিন্তু খাসিয়ারা স্থিতাবস্থা অমাণ্য করে গাছ কাটা ও সুপারী চারা রোপন করায় বিজ্ঞ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা বিট কর্মকর্তা , বরমচাল বিট দায়ের করেন নং ১৭/২৪ । কুলাউড়া রেঞ্জে আমার চাকুরী কাল প্রায় তিন বছর হওয়ায় স্বাভবিক নিয়মে আমাকে বদলী করা হয়। গত ১৩ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখ বদলীর আদেশ হওয়ার পর একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার নামে বিভিন্ন কল্পকাহিনী সাজিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট প্রকাশ করায়। যা কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর। সংগত কারণে এ সকল প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি যারা এ সকল কল্প কাহিনী প্রচার করেছে তাদের ব্যক্তিগত বর্তমান ও পূর্ববর্তী জীবনধারা বিশ্লেষনে নিয়ে তাদের কথা আমলে নেয়ার জন্য সম্মানিত সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ জানাচ্ছি।#
মো: রিয়াজ উদ্দিন, সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা, কুলাউড়া