এইবেলা, কুলাউড়া ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের মাঝে অর্থ বিতরণের ঘটনায় গত ২দিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র তোলপাড় চলছে। অনেকে আহতদের সার্টিফিকেট প্রদানকারী ডাক্তারের অপসারণ দাবিও করেছেন।
জানা যায়, ০৮ মে বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার জেলায় ২০২৪এর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ৯২ জন ছাত্রকে ৯২ লাখ টাকা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক। জেলার মধ্যে কুলাউড়া উপজেলায় ২৮ জন আহত শিক্ষার্থী পেয়েছেন ২৮ লক্ষ টাকা। অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা ও অর্থগ্রহণের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর শুরু হয় তোলপাড়। নেটিজেনরা তীব্র সমালোচনা শুরু করেন। শুধু দেশের নয় বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীরাও বিষ্ময় প্রকাশ করেন। আবার আন্দোলনে অংশ নেয়া অনেকের নামই নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জানান, সারা মৌলভীবাজার জেলায় আহতের সংখ্যা ৩০ জন হবে কি-না সন্দেহ আছে। কোন প্রক্রিয়ায় তালিকা তৈরি করা হয়েছে তা জানা নেই। তবে ডাক্তারি সার্টিফিকেট কিভাবে দেয়া হলো? হাসপাতালের রেজিস্টারে এদের নাম ২৫ জুলাই থেকে সংযুক্ত আছে কি-না?-বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুলাউড়ার হতাহতদের সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুলাউড়া হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেনকে দায়ী করেন। এমনকি তার অপসারণের দাবি তুলেছেন নেটিজেনরা।
কুলাউড়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দাবিদার হাবিবুর রহমান টিপু জানান, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে কুলাউড়ায় কেউ আহত হওয়ার ঘটনা তার জানা নেই। ছাত্র শিবিরের কর্মীদের বাছাই করে আওয়ামী লীগ নেতার মিতালী ফার্মেসীতে বসে সার্টিফিকেট দেন। এদের বেশির ভাগই ভুয়া। বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। ডা. জাকির হোসেন জামায়াত করেন। উনি দলের একজন নেতা। তিনি ডা. জাকির হোসেনের অপসারণ দাবি করেন।
এব্যাপারে বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আদনান ও কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পকিল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সমালোচনা চলছে তা তিনি দেখেছেন। এটা স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ। ছাত্র আন্দোলনের দু’নেতা মইনুল ও আদনান তালিকা দিয়েছেন। আর সার্টিফিকেট দিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। সুতরাং তারাই বিষয়টা ভালো বলতে পারেন।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply