এইবেলা, কুলাউড়া ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের পশ্চিম মদনগৌরী গ্রামের লোকজন ইউনুছ মিয়া মিনু ও তার স্ত্রী সুলেখা বেগমের নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ। তাদের অপকর্ম থেকে পরিত্রাণ পেতে গ্রামের ৮০ পরিবার পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন।
পশ্চিম মদনগৌরী পঞ্চায়েতের সভাপতি, সম্পাদকসহ ৮০টি পরিবারের লোকজন স্বাক্ষরির আবেদনপত্র ইউএনও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসি এবং সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ইনচার্জ বরাবরে দেয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, পশ্চিম মদনগৌরী গ্রামের মৃত কুতুব আলীর ছেলে ইউনুছ মিয়া (মিনু) ৪০ দীর্ঘদিন থেকে এলাকার গরু-ছাগল চুরির সাথে জড়িত। সে কিছুদিন আগে পাশ্ববর্তী কুরবানপুর গ্রামে গরু চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। এক বছর আগে মহেষগৌরীর ছামাদ মিয়ার হাঁসের খামারের দু’শ হাঁস চুরি করে ধরা পড়ে। মদনগৌরী এলাকার সাতির মিয়ার গরু চুরি করেছে। বর্তমানে বাইরের চোরচক্রদের এনে তাঁর মদদে এলাকায় চুরির সংঘটিত করছে। তাছাড়া মিনু ডাকাত দলেরও একজন সক্রিয় সদস্য। বিভিন্ন উপজেলার চিহ্নিত ডাকাতরা তার বাড়ীতে প্রায় আসা যাওয়া ও রাত্রীযাপন করেন বলে এলাকাবাসী জানান।
এছাড়াও তার স্ত্রী সুলেখা বেগম বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়ে গ্রামের পরিবেশ বিনষ্ট করছে। কিন্তু তাদের এসব অন্যায় কাজে এলাকার মানুষ বাঁধা দিতে গেলে মিনুর স্ত্রীর নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানী করে।
এছাড়াও মানুষের চলাচলের রাস্তার উপর খোলা টয়লেট দিয়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। কেউ কিছু বললেই তারা নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানি করার ভয়ভীতি দেখায়। তাদের অন্যয়ের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে স্থানীয় লোকজন নিরূপায় হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন।
পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মাসুক, সহ-সভাপতি সোহাগ আলী, সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ সিরাজ মিয়াসহ অনেকেই জানান, মিনু ও তার স্ত্রীর যন্ত্রণায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। পঞ্চায়েতের লোকজন বাধা-নিষেধ করলে সে তার স্ত্রীকে দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করায় এবং নারী নির্যাতন মামলার ভয়ভীতি দেখায়। পঞ্চায়েতের লোকজন মান ইজ্জতের ভয়ে কোন কিছু করতে পারছেন না।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে ইউনুছ মিয়া ওরফে মিনুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম আপছার জানান, এলাকাবাসীর একটি আবেদনের কপি পেয়েছেন। তদন্ত করার জন্য একজন এসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#
Leave a Reply