এইবেলা, কুলাউড়া ::
বড়ভাই সৈয়দ মোবাশ্বির আলী পংকী দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী, মেজভাই মুছাব্বির আলী কাজল ফান্স প্রবাসী এবং আমি সৈয়দ সাব্বির জামিল একজন প্রবাসী। গত ১৯ অক্টোবর আমাদের প্রবাসী পরিবারকে হয়রানি ও সামাজিক মান সম্মান ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে বাসার সামনে কথিত ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম রিয়াদ তার মা বোনকে নিয়ে অনশন নাটক করেন।
২৮ অক্টোবর বুধবার কুলাউড়া শহরের সামি ইয়ামি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে কথাগুলো বলেন প্রবাসী সৈয়দ সাব্বির জামিল। সংবাদ সম্মেলনকালে তার মামাতো ভাই নাজমুল ইসলাম ও ফুফাতো ভাই নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে প্রবাসী সৈয়দ সাব্বির জামিল বলেন, গত ১৯ অক্টোবর আমার কুলাউড়ার নিজবাসার সামনে আমিনুল ইসলাম রিয়াদ তার মা বোন ও ভাড়া করা লোকজন নিয়ে নাটকীয় মিথ্যা অনশন করেন। আমাদের পক্ষ থেকে এই নাটকীয় অনশনে কেউ বাঁধা প্রদান করেনি। এসময় বাসায় ছিলেন কেবল অসুস্থ পিতা মাতা। অনশনে বসে ফেইসবুক লাইভে বসে আমার কাছে জমি কেনা বাবত ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। অথচ ব্যবসায়ী রিয়াদের সাথে জমি কেনাবেচা নিয়ে আমার কোন লেনদেন নেই। এরপর এই মিথ্যা লাইভ প্রচার করার কারণে দেশ বিদেশে সামাজিকভাবে আমাদের পরিবারের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। শুধু তাই নয় বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে আসছে।
তিনি আরও জানান, আমিনুল ইসলাম রিয়াদ তাকে ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাওলাদ দেন। সেই টাকা থেকে ৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা পরিশোধ করি। বর্তমানে সে আমার কাছে ৪ লাখ টাকা পায়। সেই টাকা রিয়াদের বন্ধু এমদাদ পরিশোধ করার কথা। এমদাদ ইতোমধ্যে তাকে এক লাখ টাকা পরিশোধ করে। বাকি টাকা এমদাদ দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমি তা পরিশোধ করবো। ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণকালে টাকার বিপরীতে আমি ৩টি চেক প্রধান করি। কিন্তু সে আমার চেক ফেরৎ না দিয়ে টালবাহানা করছে।
এছাড়া আমার বাসার জমি দখলের হুমকি দিচ্ছে। এতে আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। এব্যাপারে আমি কুলাউড়া থানায় একটি অভিযোগও করেছি।
এদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে আমিনুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, আমি তার কাছে টাকা পাই। দীর্ঘদিন থেকে তাকে খোঁজেও পাচ্ছি না। অনশন করার পর স্থানীয় কমিশনার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজলসহ ৫ জন ব্যক্তির সমন্বয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন। আগামী ৩০ অক্টোবর এ সংক্রান্ত বৈঠক রয়েছে।#
Leave a Reply