আব্দুর রব, বড়লেখা ::
বিয়ানীবাজারের শেওলা সীমান্ত দিয়ে ভারতের ডিটেনশন সেন্টারে সাজা কেটে দেশে ফিরেছে আরো ৬ বাংলাদেশী। এদের ৫ জনই একই পরিবারের। রোববার দুপুরে বিএসএফ, ভারতীয় সীমান্ত ও ইমিগ্রেশন পুলিশ প্রত্যাবর্তনকারীদের বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে। এর আগে গত ২ নভেম্বর একই সীমান্ত দিয়ে ৪২ বাংলাদেশি ভারতে সাজাভোগের পর দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিল।
প্রত্যাবর্তনকারী একই পরিবারের ৫ জন হলেন- কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার পশ্চিম জিমংখালি গ্রামের শাহ আলম, তার স্ত্রী কুলসুমা বেগম, ছেলে মো. মোসালাফ, রবিউল খান ও মো. সোহেল। অপরজন হলেন বাঘেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার আমতলী গ্রামের শেলী বেগম।
শেওলা স্থলবন্দরে ৬ বাংলাদেশী নাগরিকের প্রত্যাবর্তনকালে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ অধিদপ্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার (অর্থ) এসএন এমডি নজরুল ইসলাম, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম, বিয়ানীবাজার থানার ওসি কল্লোল রায়, শেওলা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ এসঅই আবুল কালাম, সমাজকর্মী ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলা সহকারী যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা অমলেন্দু কুমার দাশ, বিজিবি বড়গ্রাম ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার জসিম উদ্দিন। অপরদিকে বিএসএফ ১৭৮ ব্যাটালিয়ানের ইন্সপেক্টর বিএন তালুকদার, করিমগঞ্জ বর্ডার পুলিশের ডিএসবি ত্রিনয়ন ভুইয়া, ইন্সপেক্টর আব্দুল ওয়াকিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আসাম পুলিশ ও বিএসএফ তাদেরকে আটক করলে ভারতীয় আদালতের নির্দেশে কারাগারো পাঠানো হয়। আদালতের সাজার মেয়াদ শেষ হলেও দুই দেশের নানা জটিলতায় তাদের দেশে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। আসামের গোহাটির বাংলাদেশ দুতাবাসের সহকারী হাই কমিশনার তানভির মনসুর রনি ও মৌলভীবাজারের সমাজকর্মী ও উপজেলা সহকারী যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা অমলেন্দু কুমার দাশের বিশেষ তৎপরতায় ভারত-বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়।
শেওলা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম জানান, ভারতে সাজাভোগের পর একই পরিবারের ৫জনসহ ৬ বাংলাদেশী রোববার দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে বিকেলে পূর্ব থেকে অপেক্ষমান স্বজনদের নিকট তাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।#
Leave a Reply