এইবেলা, কুলাউড়া ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনের নিকটবর্তী কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেললাইনের পাশের শতবর্ষী ২০-২৫ টি কেটে বিক্রি করছেন রেলওয়ের কর্মকর্তাদের একটি অসাধু চক্র। বিশাল আকৃতির এই গাছগুলোর বাজার মূল্য হবে আনুমানিক ২লক্ষাধিক টাকা। আর এই গাছগুলো কামাল আহমদ নামক স্থানীয় এক ব্যক্তি কিনছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন। তবে এসব গাছের ব্যপারে কিছুই জানেন না রেলওয়ে থানার ওসি।
২৮ নভেম্বর শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুলাউড়া জংশনের অদূরে (জয়পাশা এলাকায়) রেললাইনের পাশের শতবর্ষী ১০-১২ টি রেইন্ট্রি গাছ কাটছেন ৮-১০ জন শ্রমিক। রেললাইনের পাশে পড়ে আছে ২০-২৫ টি গাছের বড় বড় খন্ড। কিন্তু উন্নয়নের নামে গাছগুলো কাটা হলেও দিনশেষে সেগুলো কোথায় যাচ্ছে কেউ বলতে পারেননি। ১৪-১৫ দিন আগেও ওই লাইনের উত্তর পাশের বেশ কয়েকটি বড় বড় গাছ কেটে নেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ২০-২৫টি গাছ কেটে নেয়া হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য দুই লক্ষাধিক টাকা হবে।
গাছ কাটার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, তারা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে গাছ কাটার কাজ করছেন। স্থানীয় একজন লোক দিনশেষে তাদের মজুরি দেন, কিন্তু তার নাম জানেন না তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশর্^বর্তী ২-৩ জন বাসিন্দারা জানান, গত ১৫ দিন থেকে রেললাইনের পাশের এই গাছগুলো কাটা হচ্ছে। সন্ধ্যা পরে কাটা গাছের খন্ডগুলো গাড়ি বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেগুলো কে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তারা বলতে পারেন নি।
তারা আরও জানান, রেলওয়ের আইডব্লিউ জুয়েল আহমদের নির্দেশে উত্তরবাজার এলাকার বাসিন্দা কামাল আহমদ এই গাছগুলো কাটাচ্ছেন তারা শুনেছেন। আইডব্লিউর সাথে অসাধু আরও কয়েক কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন।
এব্যাপারে রেলওয়ে থানার ওসি সম কামাল হোসেন জানান, রেলওয়ের শতবর্ষী গাছগুলো কাটা হলেও তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। আইডাব্লিউকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবেন বলে জানান।
এব্যাপারে সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনের আইডাব্লিউ জুয়েল আহমদ গাছ বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, রেললাইনের কাজের স্বার্থে গাছগুলো কাটা হচ্ছে। একটি জায়গায় গাছের সবগুলো খন্ড জমা রাখা হচ্ছে, পরবর্তীতে এগুলো বিক্রি করা হবে। তবে গাছের খন্ডগুলো কোথায় রাখা হচ্ছে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।#
Leave a Reply