এইবেলা, কুলাউড়া ::
একজন মৃত্যু পথযাত্রী মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা করাটা মনে হচ্ছে অপরাধ। সুস্থ হয়ে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানানো এবং যারা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত ছিলো। কিন্তু উল্টো অর্থ আত্মসাৎকারী হিসেবে সেইসব মানুষকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে। যদি এমন প্রতিদান মেলে, তাহলে আর কেউ কারো সাহায্যে এগিয়ে আসবে না।
এক সময়ের ক্যান্সার রোগী হেলাল আহমদ কর্তৃক মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক অপপচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর বুধবার রাত ৮টায় কুলাউড়ার একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন কুলাউড়া উপজেলা আল-ইসলাহ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মরহুম আব্দুল ওয়াহিদ আবুল মিয়ার বড় ছেলে ফুয়াদ আহমদ তায়েফ, সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখই, কোষাধক্ষ হাফিজ বদরুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তারা জানান যে, ২০১৬ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত গরিব অসহায় ও হতদরিদ্র হাফিজ হেলাল আহমদের চিকিৎসার উদ্যোগ গ্রহন করেন কুলাউড়ার সর্বজন শ্রদ্ধেয় মরহুম আব্দুল ওয়াহিদ আবুল মিয়া। হেলালের অনুরোধের প্রেক্ষিতেই মরহুম আবুল মিয়ার নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট ও বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়। যার মাধ্যমে দেশ ও বিদেশ থেকে সর্বস্তস্থের মানুষ আর্থিক সাহায্য করেন। অনেক ব্যক্তি ও সংগঠন সরাসরি হেলালের হাতে নগদ মোটা অংকের টাকা হস্তান্তর করেন যা সে নির্ধারিত ব্যাংক একাউন্টে জমা দেয়নি। মরহুম আব্দুল ওয়াহিদ আবুল মিয়া অত্যন্ত সততার সাথে হেলালের চিকিৎসা চালিয়ে যান এবং হেলাল ক্যান্সার মুক্ত হয়। চিকিৎসা শেষে ব্যাংক একাউন্টে উদ্ধৃত ১,৯৬,৫০০/- (এক লক্ষ ছিয়ান্নবই হাজার পাঁচশত) টাকা গত ১৩ জুলাই ব্যাংক চেকের মাধ্যমে মরহুম আব্দুল ওয়াহিদ আবুল মিয়ার ছেলে ফুয়াদ আহমদ তায়েফ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে পরিশোধ করেন। যা হেলাল ১৪ জুলাই ইউসিবি ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন।
চিকিৎসার চার বছর পর আব্দুল ওয়াহিদ আবুল মিয়ার মৃত্যুর ৭ মাস পর হঠাৎ করে হিসাব না পাওয়া ও চিকিৎসার কাগজপত্র গোপন করার অভিযোগ এনে মরহুম আব্দুল ওয়াহিদ আবুল মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম, আতিকুর রহমান আখই ও হাফিজ বদরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় হাটবাজার ও দোকানে লিফলেট বিতরণ করেন এবং সর্বশেষ গত ৭ ডিসেম্বর সোমবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করেন যা সর্ম্পূন মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও গভীর ষড়যন্ত্র।
তার অনৈতিক চাহিদা ভিক্ষাবৃত্তির টাকায় বিলাসী জীবন যাপনের আজীবন দায়িত্ব না নেয়ায় একটি কুচক্রিমহলের যোগসাজসে সে বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করছে এবং পরবর্তিতে হেলাল অভিনীত আমরণ অনশন নামক নাটক বাস্তবায়ন করার পায়তারা করছে। আমাদেরকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও আইনিভাবে হেনস্থা করারও গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সুশিলসমাজ, সাংবাদিকসহ সর্বস্থরের জনসাধরণকে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহবান জানানো হয়।
হেলালের এহেন কর্মকান্ডে সার্বিকভাবে কুলাউড়ার গরিব অসহায় ও সমাজের নি:স্বার্থ সমাজসেবকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ভবিষ্যতে কারো বিপদে কোনো ভালো মানুষ ইজ্জতের ভয়ে এগিয়ে আসবে না এবং বৃত্তশালীরাও সাহায্য করবে না।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ খন্ডন করেন মরহুম আব্দুল ওয়াহিদ আবুল মিয়ার পরিবারে পক্ষে তার ছেলে ফুয়াদ আহমদ তায়েফ, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম, আতিকুর রহমান আখই ও হাফিজ বদরুল ইসলাম।
এসময় কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম শামীম, বর্তমান সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল ওয়াহিদ, সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতই, ভুকশিমইল স্কুল এন্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মুসলেহ উদ্দীন মুসা, কাজী আব্দুল লতিফ, মাওলানা আব্দুস সালাম, তফজ্জুল ইসলাম, শেখ সেলিম আহমদ, শেখ কবির আহমদ, হাফিজ আহমদ আলী, মোতাহার আলম চৌধুরী রাজু, হাফিজ রাসেল আহমদ, মোঃ খলিলুর রহমান, আব্দুল মুবিন জিহাদি, মোঃ হামিদুর রহমান, আব্দুস সোবহান নিয়াজী, আজিজুল ইসলাম সুলেমান, মোঃ আব্দুল মুবিন সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রায় শতাধিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হাফিজ হেলালের এই মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ডের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।#
Leave a Reply