এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নে ডালিম মিয়া (২২) নামক এক যুবক ৭দিন থেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গত ০৫ ডিসেম্বর মোবাইল ফোনে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের দেওগাঁও গ্রামে ডেকে নিয়ে চালানো হয় বর্বরোচিত হামলা। এঘটনায় ডালিম মিয়ার ভগ্নিপতি (বোনের জামাই) হাছনু মিয়া কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা রেকর্ডভুক্ত করেনি।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পৃথিমপাশা ইউনিযনের দেওগাঁও গ্রামের সৈয়দ আত্তর আলীর কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় ডালিম মিয়ার। বিষয়টি জানাজানি হয় উভয় পরিবারে। ৩ বছরের প্রেমের সম্পর্ক যখন গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে, তখন বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় প্রেমিকার পরিবার। ডালিম মিয়ার লেখাপড়া ও পরিবারিক অবস্থা খুব একটা ভালো না থাকাই কাল হয়ে উঠে।
গত ৫ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় ডালিম মিয়াকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেন প্রেমিকার ভাই সৈয়দ আশফাক আলী। সরল বিশ^াসে ডালিম মিয়া যান দেওগাঁও গ্রামে। পূর্বপরিকল্পনা অনুয়ায়ী সৈয়দ আশফাক আলী, সৈয়দ শহিদ আলী, সৈয়দ আজাদ আলী, সৈয়দ আক্তার আলী ও কামরুল ইসলামসহ আরও ২-৩ ব্যক্তি মিলে ডালিম মিয়াকে বেঁধে ফেলেন। ৩ ঘন্টা বর্বরোচিত হামলা চালানো হয় ডালিম মিয়ার উপর। মুখ হাত পা থেতলে দেয়া হয়।
এলাকার মানুষ মারফর বিষয়টি জানতে পেরে ডালিম মিয়ার ভগ্নিপতি (বোনের জামাই) হাছনু মিয়া ঘটনাস্থলে যান। ডালিম মিয়াকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সাথে সাথে তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিউরোমেডিসিন বিভাগে ৫দিন চিকিৎসা শেষে ১০ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য ডালিম মিয়াকে রিলিজ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ডালিম মিয়ার ভগ্নিপতি (বোনের জামাই) হাছনু মিয়া কুলাউড়া থানায় এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মামলা রেকর্ড করেনি কুলাউড়া থানা পুলিশ। হাছনু মিয়া জানান, দেওগাঁও গ্রামের সৈয়দ আত্তর আলীর পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করছে। এদিকে ডালিম মিয়ার বাম হাত ও পা অবস হয়ে গেছে। বেঁকে গেচে মুখমন্ডল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাসুদ জানান, তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
Leave a Reply