এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনের নিকটবর্তী কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেললাইনের পাশের শতবর্ষী গাছ কেটে বিক্রি বন্ধ হয়নি। বরং সংঘবদ্ধ চক্রটি এখন শুধু গাছ নয় গাছের গোড়া এমনকি বড় শেকড় পর্যন্ত তুলে নিয়ে যাচ্ছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রহস্যময় কারণে নির্বিকার। রেলওয়ে পুলিশ বলছে এটা তাদের দায়িত্বে মধ্যে পড়ে না।
কুলাউড়া জংশনের অদূরে (জয়পাশা এলাকায়) রেললাইনের পাশের শতবর্ষী রেইন্ট্রি গাছ নভেম্বর মাসের আনমানিক ১৫ তারিখ থেকে কেটে বিক্রি করছেন রেলওয়ের একটি সংঘবদ্ধ অসাধু চক্র। স্থানীয় লোকজন জানান, সেই গাছগুলোর ক্রেতা হলেন স্থানীয় প্রভাবশালী কামাল ফারুক, ফয়সাল আহম্মদ লিটন ও আবুল মিয়া। তারা ৮-১০ জন শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছেন গাছ কাটার জন্য।
গাছ কাটার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, তারা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে গাছ কাটার কাজ করছেন। স্থানীয় একজন লোক দিনশেষে তাদের মজুরি দেন, কিন্তু তার নাম বলতে নারাজ।
কুলাউড়া শাহবাজপুর রেললাইন পুন:স্থাপনের উন্নয়ন কাজের নামে গাছগুলো কাটা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশর্^বর্তী ২-৩ জন বাসিন্দারা জানান, প্রায় এক মাস থেকে রেললাইনের পাশের এই গাছগুলো কাটা হচ্ছে। সন্ধ্যা পরে কাটা গাছের খন্ডগুলো গাড়ি বোঝাই করে নিয়ে রহস্যময় স্থানে যাওয়া হয়। কিন্তু সেগুলো কে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তারা বলতে পারেন নি।
রেলওয়ে সুত্র জানায়, রেলওয়ের আইডব্লিউ জুয়েল আহমদের নির্দেশে উত্তরবাজার এলাকার বাসিন্দা কামাল আহমদ এই গাছগুলো কাটাচ্ছেন তারা শুনেছেন। আইডব্লিউর সাথে অসাধু আরও কয়েক কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন।
অভিযুক্ত কামাল ফারুক, ফয়সাল আহম্মদ লিটন ও আবুল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে ঘটনাস্থলে গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।
এব্যাপারে রেলওয়ে থানার ওসি সম কামাল হোসেন জানান, রেলওয়ের শতবর্ষী গাছগুলো কাটা হলেও তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এটা তাদের দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে না।
এব্যপারে সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনের উর্দ্ধতন উপসহকারি প্রকৌশলী জুয়েল আহমদ গাছ বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করেন।#
Leave a Reply