এইবেলা, কুলাউড়া ::
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান অবশেষে শেষ হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১১ হাজার ৭০০ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন কুলাউড়ায় আসবে। আগামী শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা ইপিআই সেন্টার থেকে এই টিকাগুলো এসে পৌঁছাবে।
করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে উপদেষ্ঠা, ইউএনওকে সভাপতি ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। ৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান পরিচালনা কমিটির সভায় এমন তথ্য জানানো হয়।
সভায় উপজেলা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সভাপতি ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল হকের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কমিটির উপদেষ্ঠা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেণু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজরাতুন নাঈম, কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ার প্রমুখ।
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল হক গণমাধ্যমকে জানান- করোনা প্রতিরোধকারী ৬০ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে মৌলভীবাজারে পৌঁছেছে। এরমধ্যে ১ হাজার ১৭০টি ভায়ালে মোট ১১ হাজার ৭০০ ডোজ টিকা কুলাউড়ায় আসবে। টিকা প্রদান, সংরক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বর্তমানে টিকাদানকারী ও স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ চলছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদানে দক্ষ সিনিয়র নার্স, মিডওয়াইফ, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, সেকমোসহ দক্ষ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবেন।
কুলাউড়া হাসপাতালে আইএলআর (হিমায়িত ব্রাক্সের মধ্যে সংরক্ষণ) টিকাগুলো +২ ডিগ্রি থেকে +৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা নিশ্চিতে সংরক্ষণাগারে বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি রাখা হয়েছে জেনারেটরের ব্যবস্থা।
তিনি আরো বলেন, সরকার নির্ধারিত নিয়মঅনুযায়ী ১০ বা দশের গুণিতক লোককে প্রতিদিন টিকা এই টিকা দেওয়া হবে। টিকা প্রয়োগের জন্য আমরা ৫ জন জেলা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। টিকাদানকারীদের প্রশিক্ষণ ৩-৪ ফেব্রুয়ারি ও স্বেচ্ছাসেবীদের আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং ৭ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে।
উপজেলা কমিটির সভাপতি ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য এখন সবার প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সংগ্রহের কাজ চলমান আছে। ‘প্রথম ধাপে টিকা দেয়া হবে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, বিজিবি, গণমাধ্যমকর্মী, আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনী, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, ব্যাংক বীমা প্রশাসনের মাঠকর্মীসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সম্মুখযোদ্ধাদের। ইতোমধ্যে মৌলভীবাজার থেকে ৫ জন দক্ষ ডাক্তার প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। এছাড়া ১৮ উর্দ্ধ বয়সের যে কেউ টিকার জন্য (www.surokkha.gov.bd) লিংকে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে ভ্যাকসিন দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশে শুরু হয়েছে করোনা প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচি।#
Leave a Reply