নিজস্ব প্রতিবেদক ::
সুনামগঞ্জের বিতর্কিত পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ নাজির আলমকে অবশেষে দোয়ারাবাজার থানা হতে বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ০১ জুন বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়র্টার্স’র অ্যাডিশনাল আইজি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী বিপিএম বার স্বাক্ষরিত (এএন্ডও) আদেশে তাকে বদলি করা হয়।
একই সাথে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করে ইন্ডষ্ট্রিয়াল পুলিশে সংযুক্ত করা হয়।
আদেশের অনুলুপি পুালিশের অন্য দায়িত্বশীল দপ্তর সহ সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারকেও প্রেরণ করা হয়।
এরপুর্বে তিনি ২০২০ সালের ২৩ আগষ্ট ওই থানার ওসি হিসাবে যোগদান করেন।
যোগদানের পর থেকেই সীমান্তঘেষা ওই থানা এলাকার মামদ , গবাদী পশু সহ নানা চোরাচালান , মামলা বাণিজ্য, সীমান্তনদী হতে অনৈতিক ভাবে খনিজ বালু পাথর উক্তোলকারীদের নিকট হতে সুবিধা নেয়া, তার দায়িত্বকালে থানার দণন এসআই কতৃক বিদশি মদ উদ্যারের পর ফের বিক্রি করে দেয়া, বিনা গ্রেফতারি পরোয়ানায় মুক্তিযোদ্ধার গ্রেফতার করে হয়রানি, থানায় গেলে নিরীহ ভোক্তভোগীদের দের সাথে অসদাচরন, সর্বশেষ নানা সময়ে তার ঘুষ, দুনীতি,অনিয়ম, মামলা গয়রানি বাণিজ্য নিয়ে বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক এনামুল কবির মুন্না।
তার দায়িত্বকালে ধর্ষণ , চোরাচালান সংঘর্ষ সহ নানা অপরাধুলক কর্মকর্মকান্ডে ওই থানা এলাকায় আইনশৃংখরার চরম অবনতি দেখা দেয়। এসব অভিযোগ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গোপন তদন্ত করলে ওসির নানা অপকর্ম তদন্তে উঠে আসে।
বদলির আশংকা আচ করতে পেরে নিজের লালিত লোকজনকে দিয়ে গত কয়েকদিন পুর্বে ওসি নিজেই তার পক্ষে মানববন্ধন সমাবেশ করে কথিত পেইড সংবাকর্মীদের দিয়ে নিজেকে মানববিক জাহির করতে কয়েকটি অনলাইন ও স্থানীয় কাগজে সংবাদ প্রকাশ করান।
তার একটি ভিডিও চিত্র ভাইরাল হয় দিন কয়েক পুর্বে। পেশাগত দায়িত্বপালনে র্যাব কতৃত আটককৃত ইয়বা ও মামলার আসামিদের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ওই সাংবাবিদকে থানায় আসতে নিষেধ করেন ওই ওসি। এরপর থানার অন্যান্য অফিসার পুলিশ সদস্য, ও কথিত এক আওয়ামী লীগ নেতাকে লেলিয়ে দেন সাংবাদিককে লাঞ্চিত করে।
এ ঘটনায় ভোক্তভোগী সাংবাদিক তাৎক্ষণিকভাবে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারকে অবহিত করলেও কোন প্রতিকার না পেয়ে পরবর্তীতে পুলিশের মহা পরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার রাতে জানতে চাইলে পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ নাজির আলম তার বদলির আদেশ প্রাপ্তির বিষয়টি নিকট স্বীকার করেন।#
Leave a Reply