চা বাগানগুলোতে প্রতিরোধক ব্যবস্থা ছাড়াই করা হয় কীটনাশক প্রয়োগ চা বাগানগুলোতে প্রতিরোধক ব্যবস্থা ছাড়াই করা হয় কীটনাশক প্রয়োগ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-বড়লেখায় সুষ্ঠু ভোট নিয়ে ভোটারের সংশয় মুল্লুকে চলো আন্দোলন ও চা শ্রমিক গণহত্যার ১০৩ বছর : ঐতিহাসিক বীরত্বগাথা রক্তাক্ত সংগ্রামের এক মহাউপাখ্যান কমলগঞ্জে ঐতিহাসিক উসমানগড় মাঠে সরকারি ভূমি দখলের হিড়িক কাল বুধবার ভোটগ্রহণ-বড়লেখায় ৬৯ ভোট কেন্দ্রের ২৯ টিই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে বেতনসহ যাবতীয় বকেয়া আদায়ের দাবীতে অবস্থান কর্মসুচি  স্ত্রীকে হত্যার পর দা নিয়ে থানায় ঘাতক স্বামীর আত্মসমর্পন বড়লেখার খলাগাও বাজারে বিট পুলিশিং কমিটির সভা মায়ের সংবাদ সম্মেলন- কুলাউড়ায় প্রবাসীকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তীব্র জনবল সংকট ও তহবিলের ঘাটতির কারণে স্বাস্থ্য সেবা ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ব্যাহত হচ্ছে আত্রাইয়ে মহাসড়কে ঝরল এক এনজিও কর্মীর প্রাণ

চা বাগানগুলোতে প্রতিরোধক ব্যবস্থা ছাড়াই করা হয় কীটনাশক প্রয়োগ

  • বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১

এইবেলা, কুলাউড়া ::

মৌলভীবাজার জেলার চা বাগানগুলোতে চা শ্রমিকরা কীটনাশক প্রয়োগ করে কোন প্রকার প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়াই। জেলার ৯২টি চা বাগানে কীটনাশক প্রয়োগের কাজে নিয়োজিত প্রায় ১৮ হাজারেরও বেশি চা শ্রমিক। এসব শ্রমিকের স্বাস্থ্যঝুঁকি ছাড়াও অবাধে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগের ফলে পরিবেশের জন্য বিষয়টি হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে।

বেসরকারি সংস্থা ওয়াফের আয়োজনে ২৮ এপ্রিল বুধবার কুলাউড়ায় চা বাগানে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক বিষয়ক এক ভাচর্ৃ্যুয়াল সেমিনারে এমন তথ্য জানানো হয়। কীটনাশক ছাড়াও চা বাগানগুলোতে স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং রান্নার জ¦ালানী শ্রমিকদের জন্য উদ্বেগের বলে উল্লেখ করা হয়।

সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কুলাউড়া উপজেলার লংলা চা বাগানের কীটনাশক প্রয়োগকারী শ্রমিক দিলীপ রাজভর জানান, দেশের ১৬৫টি চা বাগানের মধ্যে কেবল মৌলভীবাজার জেলায় ৯২ টি চা বাগান রয়েছে। প্রতিটি চা বাগানে কমপক্ষে গড়ে ২০০ চা শ্রমিক রয়েছে যারা কীটনাশক প্রযোগের কাজে নিয়োজিত। বেশির ভাগ চা শ্রমিক জানে না, কোন প্রতিরোধক ব্যবস্থা ছাড়া কীটনাশক প্রয়োগ করলে তাদের জন্য কী ভয়ানক পরিণতি অপেক্ষা করছে। ফলে তারা প্রতিরোধক ব্যবস্থা ছাড়াই কীটনাশক প্রয়োগ করেন। প্রতিরোধক সরঞ্জাম যেমন মাস্ক, গ্লাভস, চশমা, কাপড় না লাগানোর আরেকটা কারণ হলো ৫ থেকে ১০ মিনিট পর প্রচন্ড রকম গরম লাগে। রোদের মধ্যেই কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়. তাই অনেকে গরমের অস্বস্থি থেকে বাঁচতে এসব পরা থেকে বিরত থাকেন।

চা শ্রমিক নেতা প্রেমানন্দ রায় জানান, অনেক বাগানে কীটনাশক প্রয়োগকারীদের প্রতিরোধক সরঞ্জাম দিয়ে থাকে কিন্তু শ্রমিকরা সেটা পরে না। অনেকেই মনে করে বাপদাদারা এভাবেই তো দিয়ে গেছে। তারাও দিচ্ছে। তাছাড়া যে সব বাগানে প্রতিরোধক সরঞ্জাম দেয়া হয়, সেগুলো নিম্নমানের। তাই শ্রমিকরা পরতে আগ্রহ দেখায় না।

চা বাগানের চিকিৎসক ডা. কেরামত জানান, চা শ্রমিকরা তাদের প্রচলিত ধারণাকেই গুরুত্ব দেয়। ফলে কীটনাশক প্রয়োগে প্রতিরোধক ব্যবস্থা ছাড়া কিকি ক্ষতি হতে পারে?- এসব বিষয়ে শ্রমিকদের সচেতন করতে পারলে, তবেই এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে শ্রমিকদের নিবৃত করা যেতে পারে।

কুলাউড়া উপজেলা টিলাগাঁও ইউনিয়নের মেম্বার রনজিৎ নাইড়ু ও নার্সারী শ্রমিক সর্দারনী দিপ্তী রানী জানান, এসবের পাশাপাশি চা বাগানে রাবার চাষ, পরিবেশের জন্য একটি বড় হুমকি। বেশির ভাগ চা বাগান মালিকরা অধিক মুনাফার আশায় নীতিমালা লঙ্ঘন করে চা বাগানে রাবার গাছ লাগিয়েছেন। চা শ্রমিকরা রাবার সেকশনে কয়েকদিন কাজ করার পর শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই রাবার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির ও পরিবেশের জন্য অন্যতম ক্ষতিকারক।

বেসরকারি সংস্থা ওয়াফের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল মালিকের সঞ্চালনায় ভাচর্ৃ্যুয়াল সেমিনারে চা শ্রমিক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন। মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিউর আর্থ এর প্রোগ্রাম অফিসার জায়ন রাব্বি সমাদ্দার।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews