বড়লেখায় বোরো ধান সংগ্রহে ধ্বস : ৩২ দিনে সংগ্রহ ৪০ মেট্রিক টন বড়লেখায় বোরো ধান সংগ্রহে ধ্বস : ৩২ দিনে সংগ্রহ ৪০ মেট্রিক টন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় পৈশাচিক পল্টন হত্যা দিবস স্মরণে জামায়াতের আলোচনা সভা বড়লেখার কামড়িখাল জলমহাল ইজারার দূরত্ব যাচাই প্রতিবেদন-অভিযুক্তদের দিয়ে পুনঃতদন্ত! সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ আটক জুড়ীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল বড়লেখায় ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলা : দ্রুত আসামি গ্রেফতার দাবিতে স্মারকলিপি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ- হাকালুকির রনচি বিলে অভিযান : ৫ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ বড়লেখায় ইউনিয়ন কৃষকলীগ সভাপতি গ্রেফতার কুড়িগ্রামে প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের আয়বর্ধক কাজের জন্য ২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত  কমলগঞ্জে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় কুলাউড়ায় কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

বড়লেখায় বোরো ধান সংগ্রহে ধ্বস : ৩২ দিনে সংগ্রহ ৪০ মেট্রিক টন

  • মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০

আব্দুর রব, বড়লেখা ::

বড়লেখায় বোরোর বাম্পার ফলনেও সরকারী ধান সংগ্রহে ধস নেমেছে। সংশ্লিষ্টদের মতে এবার ধান সংগ্রহ কার্যক্রমে প্রশাসনের নানামূখী পদক্ষেপ ও কড়া নজরদারীতে বরাবরের অসাধু সিন্ডিকেটের কোমর ভেঙ্গেছে। এতে ধান সংগ্রহে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। কৃষকের নিকট থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে সরকারীভাবে এবার ৭৪৩ মে. টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়। ক্রয় শুরুর ৩২ দিনে ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৪০ মে. টন। কৃষকদের সঠিকভাবে উদ্বুদ্ধ না করলে এবার ধান ক্রয়ের বরাদ্দের অর্থ ফেরৎ যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

জানা গেছে, এবার বড়লেখায় বোরোর আবাদ হয় ৪ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে। সবচেয়ে বেশি বোরো ধানের আবাদ হয়েছে হাকালুকি হাওরপাড়ের বর্নি, তালিমপুর ও সুজানগর ইউনিয়নে। শিলাবৃষ্ঠি ও আগাম বন্যা না হওয়ায় প্রায় শতভাগ ধান উঠেছে কৃষকের গোলায়। এবার বোরোর মোট উৎপাদন হয়েছে ২৬ হাজার ২১৫ মেট্টিক টন। সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ৭৪৩ মে. টন ধান ক্রয়ের বরাদ্দ পাওয়া যায়। ধান বিক্রির জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ ১০৩১ জন কৃষকের নাম তালিকাভুক্ত করে ১২ মে লটারীর মাধ্যমে ৭৪৩ জনকে বাছাই করে উপজেলা খাদ্য ও কৃষি বিভাগ।

১৪ মে ধানক্রয় কর্মসুচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ও ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান। প্রতিদিন ১১ মে. টন করে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী সোমবার (১৫ জুন) পর্যন্ত ৩২ দিনে ধান সংগ্রহ হওয়ার কথা ৩৫২ মে. টন। কিন্তু সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৪০ মে. টন। সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বোরো ও আমন মৌসুমে খাদ্য গোদামে ধান সরবরাহ করেছে কতিপয় প্রভাবশালীর একটি সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের ইশারায় খাদ্যগোদামে ধান বিক্রি করতে আসা প্রকৃত কৃষকরা হয়রানীর শিকার হতেন। এতে তারা ধান বিক্রিতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। এ সুযোগে আসাধু সিন্ডিকেট কৃষিকার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে গোদামে ধান বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ জানান, প্রকৃত কৃষকরা যাতে ধান বিক্রি করতে পারে এজন্য বোরো ধান সংগ্রহে এবার উপজেলা প্রশাসন নানামূখি পদক্ষেপ নিয়ে নজরদারী করছে। খাদ্যগোদামের ধান সংগ্রহ কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে। এবার এ সিন্ডিকেটের কোমর ভাঙ্গায় এবং কৃষকদের সঠিকভাবে উদ্বুদ্ধ না করায় সরকারী ধান সংগ্রহে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ জানান, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে। বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষক ধান শুকাতে না পারায় ধান কম আসছে। এছাড়া এবার ধানের বাজারদরও বেশ চড়া হওয়ায় অনেক কৃষক খাদ্য গোদামে বিক্রি না করে ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করছেন।

ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান জানান, উপজেলা কৃষি ও খাদ্য বিভাগকে নিয়ে তিনি সরকারের ধান সংগ্রহ কার্যক্রমে ব্যাপক সচ্ছতা এনেছেন। প্রয়োজনে বরাদ্দের টাকা ফেরৎ পাঠাবেন তবুও প্রকৃত কৃষক ছাড়া কাউকে ধান সরবরাহ করতে দেয়া হবে না।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews