ঈদ সামনে রেখে কমলগঞ্জে কামারদের ব্যস্ততা ঈদ সামনে রেখে কমলগঞ্জে কামারদের ব্যস্ততা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখার হাজী সামছুল হক হাইস্কুলের এসএসসি উত্তীর্ণ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা কমলগঞ্জে টমেটো গ্রাম বনগাঁও এলাকায় কাঁচা রাস্তায় সীমাহীন ভোগান্তি ৩ বাংলাদেশীকে ফিরিয়ে দিতে বিএনপি নেতা আবেদ রাজার ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম কুলাউড়ায় চুরির ৪ গরুসহ পিকআপ যেভাবে উদ্ধার হলো ওসমানীনগরের জয়বুননেছা গার্লস হাই স্কুলে রাষ্ট্রীয় শোক দিবসে বিদ্যালয়ে সংবর্ধনা! উত্তরার মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত শিশুদের স্মরণে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির শোকসভা ও মিলাদ কমলগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি নেতা সাজ্জাদুর রহমান আর নেই কমলগঞ্জে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুলড্রেস বিতরণ ঢাকায় সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিটারে জমজমাট ফুটবল ফাইনাল ম্যাচে এফসি টেরাবাইটের জয়, রানার্সআপ বাগ ক্রুলার্স

ঈদ সামনে রেখে কমলগঞ্জে কামারদের ব্যস্ততা

  • বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০

এইবেলা, কমলগঞ্জ ::

আর একদিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহুর্তে জমে উঠছে দা-বঁটির বাজার। এ জন্য ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কামারদের কারিগররা। ঈদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে দা, চাকু, কুরালসহ লোহার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। দিনের পাশাপাশি গভীর রাতেও কামাররা লোহার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বছরের এ সময় চাহিদা বেশি থাকায় কামাররা ভালো উপার্জন করে থাকেন।

কমলগঞ্জের যেসব এলাকায় ব্যস্ততা বেশি সেগুলো হল-ভানুগাছ বাজার, শমশেরনগর, আদমপুর, মুন্সীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায়। কমলগঞ্জে ৪০-৪৫টি দোকান রয়েছে বিভিন্ন বাজারের কামারপট্টিতে। দোকানদারদের কেউ ভাড়াটিয়া, নিজ বাড়িতে বংশানুক্রমে এ পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। লোকসান ভেবেও এ পেশা তারা ছাড়ছেন না। তবে কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা মধু ঈদ সামনে রেখে এ ব্যবসা করে থাকেন। ঈদুল আজহার সময় কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় বিভিন্ন কামারপট্টিতে। ঈদ মৌসুমে কোরবানির জন্য কামারপট্টির কারিগরদের প্রচুর পরিমাণ দা, চাকু, বঁটি ও চাপাতি জোগান দিতে হয়।

শমশেরনগর বাজারের কামারপট্টির সজল চন্দ্র দাস ও সুখেশ দাস বলেন, বাব-দাদার আমল থেকে এ ব্যবসার সঙ্গে রয়েছি। কিন্তু আমরা অনেক কষ্ট করে সংসার চালাই। আমাদের দুঃখের কোনো সীমা নেই। তবে ঈদ মৌসুমে আমাদের মূল টার্গেট বছরের কয়েকটা দিন ভালো টাকা, ভালো উপার্জন করা।

গত ঈদে কয়েক হাজার টাকা উপার্জন হলেও কারিগরদের বেতন দিয়ে খুব একটা থাকেনি। কোরবানিকে কেন্দ্র করে বেশি অর্ডার আসছে চাপাতি, দা, বঁটি, চুরি ও কুড়ালের। তারা বলেন, কাজের চাপ বেশি থাকলেও যন্ত্র তৈরি জ্বালানির দাম অনেক বেশি। তারা সারাদিন আগুনের সামনে বসে থেকে মাত্র দিন শেষে ৪/৫ শত টাকা পাওয়া যায়। এ টাকা দিয়ে তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। সরকার যদি তাদের সহযোগিতা না করে তারা একদিন এ পেশা ছেড়ে দেবেন।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews