ঈদ সামনে রেখে কমলগঞ্জে কামারদের ব্যস্ততা ঈদ সামনে রেখে কমলগঞ্জে কামারদের ব্যস্ততা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার দূত হলেন অভিনেত্রী নওশাবা জুড়ীতে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল  কমলগঞ্জে আলোচিত পূর্ণিমা রেলী হত্যাকান্ড : ডনের স্বীকারোক্তিতে দা উদ্ধার কমলগঞ্জে টিলাকেটে ঝুঁকিপূর্ণ বসতঘর; দুর্ঘটনার আশঙ্কা ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কমলগঞ্জ পৌরসভায় ৩০৮১ পরিবারের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ কুড়িগ্রামে জিআরের চাউলের স্লিপ নেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত-৬ নিটার প্রশাসনের ইফতার মাহফিল আয়োজনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ  নাগেশ্বরীতে স্থানীয় ব্যবসায়িকদের সাথে সংবেদনশীলতা সভা কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার  সোনালী ব্যাংক বড়লেখা শাখার ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানী ও অসদাচরণের অভিযোগ

ঈদ সামনে রেখে কমলগঞ্জে কামারদের ব্যস্ততা

  • বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০

এইবেলা, কমলগঞ্জ ::

আর একদিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহুর্তে জমে উঠছে দা-বঁটির বাজার। এ জন্য ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কামারদের কারিগররা। ঈদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে দা, চাকু, কুরালসহ লোহার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। দিনের পাশাপাশি গভীর রাতেও কামাররা লোহার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বছরের এ সময় চাহিদা বেশি থাকায় কামাররা ভালো উপার্জন করে থাকেন।

কমলগঞ্জের যেসব এলাকায় ব্যস্ততা বেশি সেগুলো হল-ভানুগাছ বাজার, শমশেরনগর, আদমপুর, মুন্সীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায়। কমলগঞ্জে ৪০-৪৫টি দোকান রয়েছে বিভিন্ন বাজারের কামারপট্টিতে। দোকানদারদের কেউ ভাড়াটিয়া, নিজ বাড়িতে বংশানুক্রমে এ পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। লোকসান ভেবেও এ পেশা তারা ছাড়ছেন না। তবে কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা মধু ঈদ সামনে রেখে এ ব্যবসা করে থাকেন। ঈদুল আজহার সময় কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় বিভিন্ন কামারপট্টিতে। ঈদ মৌসুমে কোরবানির জন্য কামারপট্টির কারিগরদের প্রচুর পরিমাণ দা, চাকু, বঁটি ও চাপাতি জোগান দিতে হয়।

শমশেরনগর বাজারের কামারপট্টির সজল চন্দ্র দাস ও সুখেশ দাস বলেন, বাব-দাদার আমল থেকে এ ব্যবসার সঙ্গে রয়েছি। কিন্তু আমরা অনেক কষ্ট করে সংসার চালাই। আমাদের দুঃখের কোনো সীমা নেই। তবে ঈদ মৌসুমে আমাদের মূল টার্গেট বছরের কয়েকটা দিন ভালো টাকা, ভালো উপার্জন করা।

গত ঈদে কয়েক হাজার টাকা উপার্জন হলেও কারিগরদের বেতন দিয়ে খুব একটা থাকেনি। কোরবানিকে কেন্দ্র করে বেশি অর্ডার আসছে চাপাতি, দা, বঁটি, চুরি ও কুড়ালের। তারা বলেন, কাজের চাপ বেশি থাকলেও যন্ত্র তৈরি জ্বালানির দাম অনেক বেশি। তারা সারাদিন আগুনের সামনে বসে থেকে মাত্র দিন শেষে ৪/৫ শত টাকা পাওয়া যায়। এ টাকা দিয়ে তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। সরকার যদি তাদের সহযোগিতা না করে তারা একদিন এ পেশা ছেড়ে দেবেন।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews