ওসমানীনগরে লন্ডন প্রবাসী নারী রহিমা হত্যকাণ্ড : আসামি কালু ৪ দিনের রিমান্ডে ওসমানীনগরে লন্ডন প্রবাসী নারী রহিমা হত্যকাণ্ড : আসামি কালু ৪ দিনের রিমান্ডে – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে শত বছরের ঐতিহ্যবাহি সীতাতলার মেলা শুরু কুলাউড়ায় জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স- বড়লেখায় নবাগত ইউএইচ এন্ড এফপিও ডা. ফেরদৌস আক্তারের যোগদান কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির বিশেষ মাসিক সভা অনুষ্ঠিত সিলেট জুড়ে চালের বাজারে অস্থিরতা বিপাকে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা বড়লেখায় রেলপথ পুনঃস্থাপন কাজে রাস্তা নিশ্চিহ্ন এলাকাবাসির মানববন্ধন জেলবন্দিদের মুক্তি চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পূর্ণবহালের দাবিতে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন  সিলেটের বালাগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রবাসী নিহত আত্রাই ছোট যমুনা নদীর দু’তীরে সবুজের সমারোহ জিসপ’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন সৈয়দ আলমগীর

ওসমানীনগরে লন্ডন প্রবাসী নারী রহিমা হত্যকাণ্ড : আসামি কালু ৪ দিনের রিমান্ডে

  • রবিবার, ২ আগস্ট, ২০২০

 

এইবেলা, ওসমানীনগর ::

সিলেটের ওসমানীনগের যুক্তরাজ্য প্রবাসী রহিমা হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি আব্দুল জলিল কালুকে ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ওসমানীনগর থানা পুলিশ।

০২ রোববার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আমিুনল হক আসামি কালুকে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাকন দে’র আদালতে প্রেরণ করে ১০ দিন রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত রিমান্ড শুনানী শেষে ৪দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরে আদালত থেকেই আসামি কালুকে ওসমানীনগর থানায় নিয়ে আসা হয় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

আদালতের বরাত দিয়ে ওসমানীনগর থানার ওসি শ্যামল বনিক যুক্তরাজ্য প্রবাসীরহিমা হত্যাকান্ডের মূল হোতা কালুর ৪দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই হত্যাকান্ডের সাথে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না কিংবা অন্য কারো ইন্দন আছে কিনা অধিকতর তদন্তের জন্য আসামি কালুকে ৪দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের কটালপুর গ্রামের মৃত আখলু মিয়ার স্ত্রী যুক্তরাজ্য প্রবাসী রহিমা বেগমের চার সন্তান সহ পুরো পরিবার যুক্তরাজ্যে থাকেন। তিনি গত ২ বছর ধরে গোয়ালাবাজারের করনসী রোডে নিজস্ব বাসায় একা থাকতেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি গত মঙ্গলবার ২৮ জুলাই বিকেল থেকে বন্ধ থাকায় দেশে থাকা আত্মীয়রা বৃহস্পতিবার রাতে রহিমা বেগমের বাসাটি তালবদ্ধ দেখতে পান। পরে গভীর রাতে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে গেইট ও দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে বাথরুমে রহিমা বেগমের গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এ সময় রহিমা বেগমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। থানা পুলিশ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকালে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনায় একটি হত্যা (মামলা নং-০১) দায়ের করেন নিহত রহিমার ছোট ভাই উপজেলার ধিরারাই গ্রামের আব্দুল কাদির। লাশ উদ্ধারের পর থেকে জড়িতদের ধরতে তৎপর হয়ে উঠে পুলিশ। সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) রফিকুল ইসলামের তত্বাবধানে ওসমানীনগর থানার ওসি শ্যামল বণিকের নেতৃত্বে পুলিশের প্রায় শতাধিক একটি চৌকস দল শুক্রবার দিনভর বিভিন্ন জায়গায় একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ সহ তদন্ত অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে শুক্রবার দিনগত রাত সোয়া ৩টার দিকে গোয়ালাবাজারস্থ হেলাল ভিলা (করনসী রোড) থেকে উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের নগরীকাপন গ্রামের মৃত আব্দুল কাছিমের ছেলে আব্দুল জলিল কালুকে(৩৯) গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে কালু তাকে ৫ হাজার টাকা ধার না দেয়ায় রহিমা বেগমকে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করে। এরপর শনিবার ০১ আগস্ট পুলিশ তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রহিমা বেগমের মোবাইল ফোন ও ২৮ জুলাই বিকেল ৫ টার দিকে সংঘটিত এ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বটি দা, একটি লাটি নিহতের রান্না ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews