বড়লেখায় পিডিবির বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানীর অভিযোগ বড়লেখায় পিডিবির বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানীর অভিযোগ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৯:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান-২ আনু মিয়াকে দায়িত্ব প্রদানে ৮ সদস্যের সুপারিশ বড়লেখায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের মধ্যে মৎস্যখাদ্য বিতরণ বড়লেখায় জামিন নিয়েই বাদির ভাইকে হত্যার চেষ্টা : থানায় অভিযোগ প্রায় ১৫ বছর জায়গা ফিরে পেলো দিলদারপুর চা-বাগান বড়লেখায় ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ বড়লেখায় এনসিসি ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন দূর্ভোগের আরেক নাম কুলাউড়ার রবিরবাজার- মুরইছড়া সড়ক কুলাউড়ায় জমি জবরদখলের অপরাধে ২ জবরদখলকারীকে ৭ দিনের জেল কুলাউড়ায় একাধিক মামলার পলাতক আসামী জয় পুলিশের খাঁচায় বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিহা গ্রেফতার

বড়লেখায় পিডিবির বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানীর অভিযোগ

  • রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০২০

আব্দুর রব, বড়লেখা ::

বড়লেখা উপজেলার সহস্রাধিক পিডিপির বিদ্যুৎ গ্রাহক ভুতুড়ে বিল, লো-ভোল্টেজ, এসটি ফিউজ লাগাতে অর্থ আদায়সহ নানা হয়রানীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। এব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট ভুক্তভোগী গ্রাহকরা অভিযোগ দিয়েও সুফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এখন তারা বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর হয়রানীর বিরুদ্ধে বৃহত্তর কর্মসুচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ৯৫ ভাগ এলাকায় পল¬ীবিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের বৃহত্তর দোহালিয়া, গজভাগ, কাশেম নগর, গুচ্ছগ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে এখনও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন মিটারের রিডিং না দেখে অস্বাভাবিক ইউনিট ধরে প্রতি মাসে কাল্পনিক বিল করায় গ্রাহকরা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। এ তিন গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ দিনমজুর। অনেকে ২/৩ বাতির সাথে বড়জোর ২টি ফ্যান ব্যবহার করেন। কিন্তু মাস শেষে পিডিপি ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দিচ্ছে। বিদ্যুৎ গ্রাহক লনি মিয়াকে জুলাই মাসে ৩৪৮৪ টাকা, খালই মিয়াকে ১১৩৫ টাকা, আহছান উদ্দিনকে ৪০৭২ টাকা, মনিরুন বিবিকে ১২২০ টাকার বিল দিয়েছে পিডিবি। তাদের ব্যবহার অনুযায়ী প্রতিমাসে ১৫০ থেকে ২০০ টাকার বেশি বিল আসার কথা নয়।

বিদ্যুৎ গ্রাহক ফরিদ আহমদ, রজব উদ্দিন, রমজান আলী, সুবির দেব, আছমা বেগম, নজিব আলী, তসিদ আলী, আতিকুর রহমান প্রমুখ জানান, পিডিবি ঘুষখোর কর্মচারীরা ট্রান্সফরমারের ধারণ ক্ষমতার বাহিরে অবৈধ সংযোগ দেয়ায় সন্ধ্যার পর তারা মোমবাতির আলোও পান না। ট্রান্সফরমারের এসটি ফিউজ পুড়ে গেলে ঘুষ না দিলে পিডিবির লাইনম্যান ফিউজ লাগিয়ে দেয় না। বিকাশে টাকা পাঠালে লাইনম্যান মেইন লাইন সাটডাউন দেন। তারপর স্থানীয় কোন লাইনম্যানকে টাকা দিয়ে এসটি ফিউজ লাগাতে হয়। সাব-এসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আনছারুল কবির শামীম নানা অজুহাতে গ্রাহকদের মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করেন। ইতিপুর্বে বিভিন্ন অভিযোগে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। কিন্তু রহস্যজনকভাবে মাত্র ৪ মাসের মাথায় পুনরায় এখানে ফিরে তিনি পুর্বের মতো ঘুষ বাণিজ্য শুরু করেছেন। পিডিবির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর হয়রানীতে তারা অতিষ্ট হলেও দেখার যেন কেউ নেই। গত ২৯ জুন ভুতুড়ে বিলের হয়রানী বন্ধের জন্য শতাধিক গ্রাহক পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো পরের মাসেও ভুতুড়ে বিল দেয় পিডিবি। আগস্ট মাসেও ভুতুড়ে বিল আসার আশংকা করছেন তারা।

এব্যাপারে জানতে পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী সামস বিন আরেফীনের সাথে রোববার বিকেলে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি জরুরী সভায় রয়েছেন, পরে কথা বলবেন জানিয়ে বিষয়গুলো এড়িয়ে যান। এরপর অনেকবার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews