বড়লেখায় নৃশংস হামলায় আহত জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বৃদ্ধ বড়লেখায় নৃশংস হামলায় আহত জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বৃদ্ধ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় পৈশাচিক পল্টন হত্যা দিবস স্মরণে জামায়াতের আলোচনা সভা বড়লেখার কামড়িখাল জলমহাল ইজারার দূরত্ব যাচাই প্রতিবেদন-অভিযুক্তদের দিয়ে পুনঃতদন্ত! সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ আটক জুড়ীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল বড়লেখায় ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলা : দ্রুত আসামি গ্রেফতার দাবিতে স্মারকলিপি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ- হাকালুকির রনচি বিলে অভিযান : ৫ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ বড়লেখায় ইউনিয়ন কৃষকলীগ সভাপতি গ্রেফতার কুড়িগ্রামে প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের আয়বর্ধক কাজের জন্য ২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত  কমলগঞ্জে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় কুলাউড়ায় কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

বড়লেখায় নৃশংস হামলায় আহত জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বৃদ্ধ

  • বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০

এইবেলা, বড়লেখা ::

বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের গলগজা গ্রামের মৃত হারিছ আলীর ছেলে জইন উদ্দিন (৫৫)। পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্রের কোপে তার মাথা, কান ও গলা ক্ষতবিক্ষত করেছে। দুই হাত কুপিয়ে করেছে মারাতœক জখম। বর্বর ও নৃশংস হামলার এ ঘটনাটি ঘটে গত ১৩ অক্টোবর। আহত জইন উদ্দিন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। স্ত্রীর মামলায় ৩ আসামী গ্রেফতার হলেও ঘটনার ১০ দিনেও মুল আসামীরা অধরা।

এ ঘটনায় আহত জইন উদ্দিনের স্ত্রী মার্জিনা জান্নাত বড়লেখা থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ ও ১০-১২জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন গলগজা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সাহাদাৎ হোসেন (২৪), একই গ্রামের মৃত সমছ উদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন (৩৫), বিছরাবাজার এলাকার রকিব উদ্দিনের ছেলে শিব্বির আহমদ (৪০), গলগজা গ্রামের মৃত সমছ উদ্দিনের ছেলে কামরান আহমদ (২০), একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী হাফিজুন নেছা (৫০), গাজিটেকা গ্রামের তবারক আলীর ছেলে মুহিবুর রহমান (৪৬), একই গ্রামের মছকন্দ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান বলাই (৫৫), গলগজা গ্রামের মৃত হারিছ আলীর ছেলে রহিম উদ্দিন (৬৫) ও গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে ছাদিয়া বেগম (২০)।

মামলার পর পুলিশ এজাহার নামীয় আসামি হাফিজুন নেছা, রহিম উদ্দিন ও ছাদিয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু ঘটনার ১০ দিন পার হলেও মূল আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।

মামলার বাদী মার্জিনা জান্নাত বুধবার সন্ধ্যায় জানান, ‘আমার স্বামীর অবস্থা ভালো নেই। মাথায়, গলায় কুপিয়ে জখম করায় মুখ বাঁকা হয়ে গেছে। তার শরীরে প্রচ- যন্ত্রণা করছে। ডাক্তার বলেছেন ওষুধ চালান, হায়াত থাকলে বাঁচবেন। হঠাৎ কথা বলেন কিন্তু কথা বুঝা যায় না। মামলার প্রধান আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।’

জানা গেছে, জইন উদ্দিনের সাথে তার ভাইয়ের ছেলেদের জমি ও চলাচলের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন তিনি বাড়ির পুকুরে গোসল করতে গেলে ভাতিজা সাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালানো হয়। এসময় জইন উদ্দিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে মাথা, গলা, কান ও হাতে জখম করা হয়। হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় জইনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্ষতস্থানগুলো থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, ‘ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তাৎক্ষণিক আহত ব্যক্তির চিকিৎসার কাজে সহায়তা করে। মামলার পর ৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার পরই মূল আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews