জুড়ীতে অবৈধ করাতকল বন্ধের এক বছরের মাথায় ফের চালু জুড়ীতে অবৈধ করাতকল বন্ধের এক বছরের মাথায় ফের চালু – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা কুড়িগ্রামে লোকসংগীত ও পথ নাটক অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে শতভূজা বাসন্তী পূজা সমাপ্ত কমলগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন কুলাউড়ায় সাংবাদিকদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মইনুল ইসলাম সবুজের মতবিনিময় কুলাউড়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রদর্শনী বড়লেখায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন ও প্রদর্শনী বড়লেখায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ বড়লেখায় আমেরিকা প্রবাসী বিএনপি নেতাকে সংবর্ধনা ও ঈদ পুনর্মিলনী কুলাউড়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজু’র মতবিনিময়

জুড়ীতে অবৈধ করাতকল বন্ধের এক বছরের মাথায় ফের চালু

  • রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১

বড়লেখা প্রতিনিধি ::

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগ কর্তৃক কুলাউড়া-বড়লেখা সওজ রাস্তার মানিকসিংহ বাজারের একটি অবৈধ করাতকল (স-মিল) বন্ধের বছর না ঘুরতেই এর মালিক করাতকলটি ফের চালু করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে বনবিভাগের যোগসাজসে অবৈধ করাতকলটি পুনরায় স্থাপন করা হয়েছে। তবে স্থানীয় বন কর্মকর্তা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাধা দেওয়া স্বত্ত্বেও জনৈক লতিফ খা বনবিভাগের অনুমতি না নিয়েই করাতকল স্থাপনের কার্যক্রম চালান। অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে এখন বন আইনে মামলা করা হবে।

জানা গেছে, জুড়ীর হামিদপুর গ্রামের লতিফ খাঁ প্রায় ৭ বছর পূর্বে কুলাউড়া-বড়লেখা সওজ রাস্তার মানিকসিংহ বাজারে বিধিবহির্ভুতভাবে একটি করাতকল স্থাপন করেন। করাতকল লাইসেন্স বিধিমালা ২০১২ এর (৭) ক ধারা মোতাবেক সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে ১০ কি.মি অভ্যন্তরে করাতকল বা সমিল বসানোর নিয়ম না থাকলেও রহস্যজনকভাবে তিনি মাত্র ৫ কি.মি এর ভেতরে করাতকলটি স্থাপন করে ব্যবসা চালিয়ে যান। করাতকলের লাইসেন্সের আবেদন করলে বিধিবহির্ভুতভাবে স্থাপিত হওয়ায় বনবিভাগ তাকে লাইসেন্স দেয়নি। বনবিভাগের অনুমতি ছাড়াই ২০১৫ সাল থেকে শুধুমাত্র হাইকোর্টের একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সমিলটি চালিয়ে যান। সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুন মাসে হাইকোর্টের রিটের মেয়াদ শেষ হয়।

এদিকে করাতকলটি অবৈধ দাবি করে জনস্বার্থে তা বন্ধ করে দেয়ার দাবিতে লুজু খাঁ নামক স্থানীয় বাসিন্দা ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর সিলেট বিভাগীয় বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা (ডিওএফ) বরাবরে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে পরিদর্শন করে বনবিভাগ সমিলটির কাগজের সাথে মালিকের ভুমির কাগজের মিল পায়নি। করাতকলটি বাংলাদেশ রেলওয়ের ভুমিতে স্থাপিত থাকতে প্রমাণ পায়। এরপর বনবিভাগ সমিলটি অবৈধ ঘোষণা করে মালিককে তা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।

প্রায় ১ বছর বন্ধ রাখার পর লতিফ খাঁ বনবিভাগের অনুমতি ছাড়াই অদৃশ্য শক্তির কারণে আগের স্থান থেকে কয়েক গজ পশ্চিমে সরিয়ে করাতকলটি স্থাপন করেন। বনবিভাগের নাকের ডগায় কাগজপত্র ছাড়াই রোববার তিনি করাতকলের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছেন।

এব্যাপারে লতিফ খাঁ জানান, আদালতের রীটের বলেই তিনি সমিল স্থাপন করেছেন। রীটের মেয়াদ প্রায় দুই বছর আগে শেষ হয়েছে, পুনরায় কি বর্ধিত করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ২০২১ সালের কাগজ কেউ দেখাতে পাররে না। আগের কাগজেই এভাবে অসংখ্য সমিল চলছে। এগুলো চললে আমারটা চালাতে অসুবিধা কোথায়।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিওএফ) এসএম সাজ্জাদ হোসেন জানান, লতিফ খাঁর সমিলটি অবৈধ ঘোষণা করে প্রায় ১ বছর আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়। নতুন কোনো লাইসেন্স দেয়া হয়নি। আদালত থেকেও কোনো কাগজপত্র পাননি। তিনি কিভাবে পুনরায় সমিলটি চালু করলেন খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন।#

জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা আলা উদ্দিন জানান, সমিল স্থাপনের কাজ চলাকালে একাধিক বার বাধা দিয়েছেন। কিন্তু লতিফ খাঁ তা মানেনি। অবৈধ ঘোষিত ও বন্ধ করে দেওয়া সমিল পুনরায় চালু করায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে এব্যাপারে বন আইনে মামলা দেয়া হবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews