এখন আর স্বপ্ন নয় ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার ভ্রমণ এখন আর স্বপ্ন নয় ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার ভ্রমণ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা কমলগঞ্জে সরকারি যাকাত ফান্ডে যাকাত সংগ্রহ সংক্রান্ত মতবিনিময় কমলগঞ্জে চা শ্রমিক নারীর লাশ সৎকার থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে  স্পেনের বার্সেলোনায় বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার সম্পন্ন বড়লেখা সমাজসেবা অফিসের ‘সমাজকর্মী’ সুব্রত বিশ্বাসের পরলোকগমন : শোক প্রকাশ কুলাউড়ায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের উপশাখার উদ্বোধন জুড়ী ট্র্যাজেডি : সোনিয়ার মৃত্যুতে বেঁচে রইলো না আর কেউ কুলাউড়ায় এনার ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেছে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা আত্রাইয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত বড়লেখায় স্বাধীনতা দিবসে ২শ’ দুস্থ পরিবারে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী দিল বিজিবি

এখন আর স্বপ্ন নয় ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার ভ্রমণ

  • সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১
এইবেলা, ডেস্ক ::
কক্সবাজার সৈকতে ঝিনুকের আদলে তৈরি করা হবে অত্যাধুনিক রেলস্টেশন। ফলে ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার ভ্রমণ এখন আর স্বপ্ন নয়। একসময় দেশের মানুষের স্বপ্ন ছিল রেলে চড়ে কক্সবাজার ভ্রমণে যাবেন। দীর্ঘদিনের সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।
মহাসড়কের যানজটের বিরক্তি কাটবে ভ্রমণ পিপাসুদের। প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে।
এই প্রকল্পে কাজ করছে চীনের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি)। এছাড়া বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এ প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত।
প্রকল্পের আওতায় ১২৮ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার, রামু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া নির্মিত হচ্ছে চারটি বড় সেতুসহ ২৫টি সেতু। বড় সেতুগুলো তৈরি হচ্ছে মাতামুহুরী নদী ও শাখা নদী, শঙ্খ এবং বাঁকখালী নদীর ওপর।
এরই মধ্যে কক্সবাজার অংশে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত বসানো হয়েছে রেল ট্র্যাক। সেই সঙ্গে এগিয়ে চলছে আইকনিক স্টেশন, ছোট-বড় সেতু, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং ও হাইওয়ে ক্রসিংয়ের নির্মাণকাজও। দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথে স্টেশন থাকবে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া, কক্সবাজারের চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাহ, রামু, সদর ও উখিয়া এবং নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে।
এ পর্যন্ত প্রকল্পটির প্রায় ৬২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ১৮ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হলে কক্সবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আসবে। পর্যটনসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে কক্সবাজার অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান  বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার। ইতিমধ্যে প্রকল্পটির প্রায় ৬২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি, ২০২২ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবো। এখনও কয়েকটি কালভার্টের কাজ বাকি আছে।
রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় অর্থাৎ রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ আমরা এখনও শুরু করতে পারিনি। প্রকল্পটি যে এলাকা দিয়ে যাবে, সেখানে রোহিঙ্গা বসতি থাকায় কাজ শুরু করা যায়নি। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করবো। ’
২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে রেল লাইনটির সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালিত হয়েছিল। ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এলে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার এবং কক্সবাজারের রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ ও অবকাঠামো নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার।
জানা গেছে, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৯ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা করে সরকার। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। পুরোদমে কাজ চালিয়ে ২০২২ সালের জুন মাসেই সম্পন্ন হবে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণকাজ।
প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম দোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে নয়টি রেলওয়ে স্টেশন, চারটি বড়, ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট, ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। স্টেশনগুলো নির্মিত হবে- সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুম এলাকায়।
এর বাইরে সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে তিনটি বড় সেতু। রেললাইনে থাকবে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম এবং ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিসম্পন্ন রেললাইনে অত্যাধুনিক অপটিক্যাল ফাইভারের মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থা সংযোজন এবং কক্সবাজার সৈকতে ঝিনুকের আদলে তৈরি করা হবে অত্যাধুনিক রেলস্টেশন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় ১২৮ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার, রামু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার রেললাইন তৈরির জন্য মাটি ভরাট কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮০ শতাংশ। বনাঞ্চলের ভেতরে হাতি চলাচলের জন্য দুটি আন্ডারপাসের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের ৩৯টি সেতুর মধ্যে সবগুলোর স্প্যান ও পিলারের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কক্সবাজার অংশের ২০টি সেতুতে গার্ডার বসানো প্রায় শেষের পথে। দোহাজারী অংশের ১৮টি সেতুর স্প্যান ও পিলার নির্মাণ শেষে ১২ এপ্রিল থেকে গার্ডার বসানো শুরু হয়েছে। নির্মাণাধীন আছে প্রকল্পের সাতটি স্টেশন বিল্ডিং এবং কক্সবাজারের নির্মাণাধীন সর্বাধুনিক আইকনিক স্টেশন বিল্ডিং।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews