বড়লেখায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে আদালত ও সাবরেজিষ্ট্রার অফিসের কাজ বড়লেখায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে আদালত ও সাবরেজিষ্ট্রার অফিসের কাজ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পর্তুগাল থেকে কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন বড়লেখার রুহান বড়লেখায় শিয়ালের ফাঁদে মেছোবাঘ : মাধবকুণ্ড ইকোপার্কে অবমুক্ত প্লাস্টিক পোড়ানোর ফলে বায়ুদূষণের পরিবেশগত ও আইনগত প্রেক্ষাপট বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক কাল কমলগঞ্জ নার্সারি ব্যবসায়ীদের চারা বিক্রি কমে গেছে কমলগঞ্জে দরিদ্র ৫০ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ ফুলবাড়ীতে নেশা জাতীয় টাপেন্টাডল ট্যাবলেট মাদকসহ এক নারী আটক কুলাউড়ার শরিফপুরে এমএম শাহীনের গণসংযোগ ও পথসভা ডেইরি আইকন’ পুরস্কার পেলো কমলগঞ্জের আরএম ডেইরি ফার্ম! সিলেটে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর প্রচারণায় হামলার অভিযোগ! সিসিক নির্বাচন: প্রতীক বরাদ্দ, প্রচারণায় প্রার্থীরা!

বড়লেখায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে আদালত ও সাবরেজিষ্ট্রার অফিসের কাজ

  • বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আব্দুর রব, বড়লেখা ::

বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালত (চৌকি আদালত) ও সাবরেজিষ্ট্রার ভবন ব্যবহার অনুপযোগি। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ ও ডেমেজ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান দু’টির কার্যক্রম। এতে ভবন ধসে যেকোন সময় বড়ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা দলিল লেখক সমিতি সাবরেজিষ্ট্রার অফিস উপজেলা প্রশাসনের অভ্যন্তরে স্থানান্তরের দাবীতে উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন।

জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে তৎকালীন সরকার ফৌজদারী আদালত পরিচালনার জন্য বড়লেখায় আদালত ভবন নির্মাণ করে। ১৯৯২ সালে সরকারি আদেশে উপজেলা আদালত প্রত্যাহার করায় সেখানে উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রার অফিস স্থানান্তর করা হয়। ২০০৪ সালের শেষের দিকে দেশের সীমান্তবর্তী ৯টি উপজেলায় চৌকি আদালত চালুর সরকারি সিদ্ধান্তে প্রায় ১ যুগ অরক্ষিত ও জরাজীর্ণ ভবনে বড়লেখা উপজেলা আদালতের কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়। ইতিপূর্বে জরাজীর্ণ আদালত ও সাবরেজিষ্ট্রার ভবনের ছাদের ও দেয়ালের পলেস্তোরা ভেঙ্গে অনেকের ওপর পড়েছে। এমনকি এজলাসে বিচারকার্য চলাকালিন ছাদের পলেস্তোরা-খোয়া ভেঙ্গে ও বৈদ্যুতিক পাখা ছিটকে আইনজীবিদের মাথায় পড়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরপর থেকেই আদালতের স্টাফ, আইনজীবি ও বিচারপ্রার্থীরা থাকেন আতংকে। গত ২৮ মে আদালত ভবনের হাজতখানার উত্তর দিকের প্রায় ৫০ ফুট দীর্ঘ সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ে। অরক্ষিত হয়ে পড়ে কোর্ট হাজতখানা। পুলিশ ও আসামীর নিরাপত্তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। এদিকে ভবনের ছাদ চুয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে নষ্ট হয় আদালত ও সাবরেজিষ্ট্রার অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। অন্যদিকে ডেমেজ ভবনের দেওয়াল ও নিরাপত্তা প্রাচীর যেকোন সময় ধসে পড়ার উপক্রম।

সরেজমিনে আদালত ও সাবরেজিষ্ট্রার ভবনের দেয়াল, ছাদ, পিলার ও ভিমের বিভিন্ন স্থানে ফাটল থাকতে দেখা গেছে। জরাজীর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে রয়েছে আদালতের এজলাস, খাস কামরা, এপিপি কক্ষ, জিআরও কক্ষ, পুরুষ ও মহিলা হাজতখানা। অরক্ষিত নষ্ট হওয়ার পথে বিভিন্ন বিচারাধীন মামলার জব্দকৃত আলামত। দেওয়াল ও ছাদের বিভিন্ন স্থানের পলেস্তোরা খসে পড়েছে। ছাদ চুঁয়ে পড়ে বৃষ্টির পানি। ভবন সংকটে মহিলা হাজতখানায় বাস করেন আদালতের স্টাফ ও পুলিশ সদস্যরা। দেওয়াল ও ছাদ ধসে যেকোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট গোপাল চন্দ্র দত্ত জানান, ডেমেজ ভবনে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিচারিক কার্যক্রম। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য গত ৬ বছরে কয়েক দফা আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আজও ব্যবস্থা নেওয়ার খবর পাননি। জনস্বার্থে দ্রুত নতুন আদালত ভবন নির্মাণ করা জরুরী।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫ - ২০২০
Theme Customized By BreakingNews