আমিনবাজারে ছয় ছাত্র হত্যায় ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড আমিনবাজারে ছয় ছাত্র হত্যায় ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১২:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কমলগঞ্জে ৪ ছাগল চোর জনতার হাত আটক কমলগঞ্জে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষুশিবির অনুষ্ঠিত বড়লেখায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা ওসমানীনগরে ইয়াবাসহ ২মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার লাউয়াছড়ায় বন্যপ্রাণী ঠেকাতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ : চা শ্রমিকের মৃত্যু ফুলবাড়ীতে গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলফুলবাড়ীতে গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের রাবার বুলেটে এক বাংলাদেশী গুরুতর আহত হয়েছেন। জুড়ীতে বিধবা বৃদ্ধার কাছে চাঁদা দাবি- এক আসামী কারাগারে ওসমানীনগরে প্রেমিকার প্রতারণা : প্রবাসী যুবকের আত্মহত্যার অভিযোগে থানায় মামলা আয়াকে দিয়ে মিথ্যা মামলা : মাদ্রাসার সভাপতি-সুপারের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল

আমিনবাজারে ছয় ছাত্র হত্যায় ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২১

নিউজ ডেস্ক:-সাভারের আমিনবাজারে ডাকাতের তকমা লাগিয়ে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ১০ বছরেরও বেশি সময় পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা হলো।

বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমত জাহান এ রায় ঘোষণা করেন।

এ মামলার আসামি ৬০। তাদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন, যাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫৭ আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন মিলিয়ে ৩২ জনকে সাজা দিয়েছেন আদালত। বাকি ২৫ জনকে মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

গত ২২ নভেম্বর ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমত জাহান রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। মামলায় ৯২ সাক্ষীর মধ্যে ৫৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেওয়া হলো।

আদালতসূত্র জানায়, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবেবরাতের রাতে সাভারে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ছয় কলেজছাত্রকে। নিহতরা হলেন— তৌহিদুর রহমান পলাশ, ইব্রাহিম খলিল, কামরুজ্জামান, টিপু সুলতান, সিতাব জাবির মুনিব ও শামস রহিম শামীম। নিহতদের সঙ্গে থাকা বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত হয়ে প্রাণে বেঁচে যান।

ঘটনার পর কথিত ডাকাতির অভিযোগে বেঁচে যাওয়া আল-আমিনসহ নিহতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক। ওই সময় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করে।

পুলিশ, সিআইডির হাত ঘুরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্তভার র্যাবের হাতে দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিরা নিরীহ ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে জখম করে।’

পরবর্তী সময়ে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে মসজিদের মাইকে সবাইকে ডাকাত আসার ঘোষণা দেন এবং থানায় মিথ্যা মামলা করেন। বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে তাদের হত্যা করা হয়।’ ২০১৩ সালের ৮ জুলাই ৬০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ভিকটিম আল-আমিনকে একই ঘটনায় করা ডাকাতি মামলা থেকে সেদিন অব্যাহতি দেওয়া হয়।এ মামলায় ১৪ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫ - ২০২০
Theme Customized By BreakingNews